আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক সেস্টের (আইএস) প্রধান স্বঘোষিত, তথাকথিত খলিফা আবু বকর আল-বাগদাদি ইরাকের মসুলে লুকিয়ে আছেন বলে মনে করছেন কুর্দি নেতারা।
তার মৃত্যু মানে আইএসের পতন। সুতরাং মসুল অভিযানে তাকে হত্যা করাই হবে লক্ষ্য।
ইরাকি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার থেকে মসুলে অভিযান শুরু করেছে। চারপাশ দিকে মসুলে প্রবেশ করছে ইরাকি বাহিনী ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর যোদ্ধারা। দুই বছর মসুল শহর আইএসের দখলে থাকার পর তাদের বিরুদ্ধে এই প্রথম অভিযান শুরু করেছে ইরাকি বাহিনীগুলো।
কুর্দিস প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানির প্রধান কর্মকর্তা ফুয়াদ হাসান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাদের সরকারের কাছে বিভিন্ন সূত্রের তথ্য আছে, ‘বাগদাদি সেখানে আছেন। যদি তাকে হত্যা করা হয়, তবে আইএসের পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।’
তিনি আরো বলেন, বাগদাদির মৃত্যুর তার স্থলে নতুন কাউকে খলিফা হিসেবে নিয়োগ করতে হবে, যা চলমান যুদ্ধের মধ্যে কঠিন হবে। তা ছাড়া বাগদাদির মতো মর্যাদা ও ক্ষমতাও কারো নেই, যে আইএসকে দাঁড় করাবেন, যেমনটি করেছে বাগদাদি এবং বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ইরাকের মসুল দখল করে নিয়ে তথাকথিত খিলাফত ঘোষণা করেন বাগদাদি।
কুর্দি নেতারা বাগদাদির মসুলে থাকার বিষয়ে বিশ্বাস করলেও, বাস্তবে তা না হতেও পারে। কারণ যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থায় তার মসুলে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তা ছাড়া মসুলে আইএস পতনের পথে রয়েছে, এ বিষয়ও তাদের জানা। তবে মসুল থেকে আইএস হটানো নামে ইরাকে তাদের অস্তিত্বশূন্য করা। এরপর এ জঙ্গিগোষ্ঠীর স্বঘোষিত সন্ত্রাসী রাজধানী সিরিয়ার রাকায় অভিযান শুরু করতে পারবে যৌথ বাহিনী।