বিনোদন ডেস্ক :সৌন্দর্য একটি অধরা ধারণা। তারপরও পুরনো সংজ্ঞা হিসেবে আমাদের ভাবনায় থাকে যে, দর্শকের কাছে সুন্দর ত্বক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌন্দর্য এভাবেই সংজ্ঞায়িত হয়।
কিন্তু সেনেগালের এক তরুণীর কাছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা একেবারেই আলাদা। ১৯ বছর বয়সী হাওডিয়া ডিয়োপ, যিনি শরীরের রংয়ের কারণে একসময় সকলের কাছে ঠাট্টার পাত্রী ছিলেন। এ নিয়ে অনেক কটুকথাও শুনতে হয়েছে তাকে। সেই তিনি এখন মডেল হিসেবে গ্ল্যামার দুনিয়ায় ঝড় তুলেছেন। এই তরুণী বর্তমানে নিজেকে ‘মেলালিন দেবী’ হিসেবে বিবেচনা করেন। ইনস্টাগ্রামে তার প্রায় সাড়ে তিন লাখ ফলোয়ার তার এই বিবেচনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
গাত্রবর্ণের কারণে ছোটবেলায় তাকে ‘নিগ্রো’, ‘অন্ধকার কন্যা’ এসব নামে অভিহিত করা হতো। ‘আমি আমার স্কিন টোনের কারণে অনেক বিদ্রুপ শুনেছি এবং এমনকি অনলাইনে এখনো মাঝেমধ্যে কটু মন্তব্য শুনে থাকি।’- ডেইলি মেইল অনলাইনকে বলেন হাওডিয়া ডিয়োপ। তবে তিনি গ্ল্যামার দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেখিয়েছেন যে, অন্যের নেতিবাচক ধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে ভালোবাসা থেকে বিরত রাখা উচিত নয়। ১৭ বছর বয়সে ডিয়োপ মডেলিং জগতে পা রেখেছেন এবং নিজেকে এর থেকে দূরে রাখার কোনো যৌক্তিক কারণ কখনও দেখেননি।
বরং বলা যায়, অস্বাভাবিক সৌন্দর্যের জন্যেই তিনি ইন্টারনেটে বেশি আলোচনায় রয়েছেন এবং তিনি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চান, যারা নিজেদের আলাদা ভেবে দূরে সরে যান তাদের অনুপ্রেরণার জন্য। ডিয়োপের মতে, ‘আপনি যদি ভাগ্য পেয়ে থাকেন যথেষ্ট পরিমাণ ভিন্ন হওয়ার, তবে তা পরিবর্তন করবেন না।’
মানুষ তাদের ভিন্নতা উদযাপন করবে এবং নিজেকে ভালোবাসবে- ডিয়োপের এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক এমনটাই আমাদের কাম্য।