লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বামীর ভাবভঙ্গি একটু অন্যরকম দেখেই হয়তো স্ত্রীর মনে সন্দেহ জাগে। আর স্ত্রীদের সন্দেহ মানেই স্বামীর পরকীয়া। খোঁজখবর লাগিয়ে কোনো সময় সত্যতা পাওয়া গেলেও অনেক সময় এই সন্দেহ বাতিকের কারণে সংসারে দেখা দিতে পারে অশান্তি। কিন্তু সময়ের আগেই যদি বিষয়টি নিয়ে সাবধান হওয়া যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও লাঘব হয়। কিন্তু কী করে বুঝবেন স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত কিনা? সেই উত্তর জানা গেছে একটি জরিপের মাধ্যমে।
ইলিসিটএনকাউন্টার্স ডটকম তাদের ১৫০০ জন পুরুষ সদস্যের ওপর জরিপ করে জানতে পেরেছেন, মানুষের জীবন যাপনের সঙ্গে তাদের জুতোর মাপের অদ্ভুত এক মিল রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, যে সকল পুরুষের জুতোর মাপ ১০ কিংবা তার অধিক তাদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা বেশি। ১০ কিংবা তার নিচে যাদের পায়ের মাপ তাদের তুলনায় এই প্রবণতা দ্বিগুন। আর যাদের জুতার মাপ ৭ থেকে ৯ এর মধ্যে তারা বেশি বিশ্বস্ত হয়। এ জরিপে পরকীয়ায় লিপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমন যে পায়ের মাপ পাওয়া গেছে তা ১০.৫।
ইলিসিটএনকাউন্টার্স ডটকমের মূখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান গ্র্যান্ট বলেন, ‘অনেকেই হয়তো বিষয়টির বিপক্ষে যুক্তি দেখাবেন কিন্তু জরিপ মিথ্যা বলে না। এই সাইটের ৮৫ শতাংশ পুরুষ সদস্যের জুতোর মাপ ১০ এর উপর। বাকি ১৫ শতাংশের জুতোর মাপ ৯ বা তার নিচে।’
সমীক্ষাটির সত্যতা প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির নাম তুলে ধরা হয়েছে যারা পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। যেমন বিল ক্লিনটন, টাইগার উডস, হিউ গ্র্যান্ট এবং গেভিন রোজডেল প্রত্যেকের জুতোর মাপ ১০ বা তার উপরে। তবে বিষয়টি নারীদের বেলায় এক নয়। ১ হাজার নারীর ওপর জরিপ চালিয়ে বড় মাপের জুতো এবং পরকীয়ার মধ্যে কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। জরিপে নারীদের সবচেয়ে কমন পায়ের মাপ পাওয়া গেছে ৬.৫।
তবে এবারই প্রথম এ ধরনের জরিপ করেনি ওয়েবসাইটটি। এর আগে গত এপ্রিলে তারা একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল- যে সকল মানুষের দামি বাড়ি থাকে তারা বেশি পরকীয়াপ্রবণ হয়।