আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ অঞ্চলের ছোট্ট মেয়েটির নাম মুহরা আল শেহল। বয়স মাত্র ছয় বছর। পড়ে শারজাহ মডেল স্কুলের ফার্স্ট গ্রেডে।আর সেই ছোট্ট মেয়েটিকে দেখতে এবং তার সঙ্গে কথা বলতে কিনা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী চলে এলেন তাদের বাড়িতে!ঠিক তাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম গত শুক্রবার বিকেলে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে হাজির। কে এসেছে দেখার জন্য দরজা খুলতেই পুরো পরিবার হতভম্ব। তারা বিশ্বাসই করতে পারছে না যে স্বয়ং শেখ তাদের দরজায় দাঁড়িয়ে!
শেখ মাকতুম বললেন, আমি মুহরাকে দেখতে এসেছি। এটা কি ওদের বাড়ি? ও কই?মুহূর্তেই ওকে হাজির করা হলো। দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ওকে কোলে তুলে নিলেন এবং ওকে কোলে নিয়েই ভেতরে ঢুকলেন। ছোট্ট মুহরা লজ্জায় তখন এতটুকু হয়ে গেছে।তাকে বললেন, আমি তোমাকে দেখতে এসেছি। তোমার কথা আমি অনেককে বলেছি। তোমার ভিডিওটি আমি দেখেছি। ভিডিওতে তুমি যা করেছ, তা আবার করে দেখাও তো!
মুহরা তা-ই করে দেখালো এবং মহামান্য অতিথিকে একটি কবিতাও শোনাল।এভাবেই কেটে গেলো ১০ মিনিট। অতিথি চলে গেলেন। থেকে গেল একটি প্রশ্ন, কী করেছিল ছোট্ট মুহরা, যেজন্য স্বয়ং শাসক এলেন তাকে দেখতে?শেখ মাকতুমকে নকল করে দেখিয়েছিল মুহরা। সেটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়া হতেই ভাইরাল হয়। শেখ মাকতুমও দেখেন সেটি। শিশুটির কাণ্ড দেখে মুগ্ধ হন তিনি। ছুটে আসেন তাকে আদর জানাতে।
পরে মুহরাদের বাড়িতে শেখ মাকতুমের আগমন ও অবস্থানের ভিডিওটিও ভাইরাল হয়।এদিকে নিজেদের বাড়িতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশু মুহরা, তার বাবা, মা, চাচা, চাচী এবং ছোট ভাই আবদুল্লাহ (৫) ও ছোট বোন আসমা (৩)।মুহরা পরে বলে, আমি নাম্বার ওয়ান হতে চাই। শেখ মোহাম্মদ এবং আমার দেশের মানুষ গর্ব করতে পারে, এমন কিছু হতে চাই।