ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণে পুরোপুরি প্রস্তুত পটুয়াখালিতে স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাব মেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন । আগামী জানুয়ারিতে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর কথা আছে। আর স্টেশনটি চালু হলে গ্রাহকরা কম খরচে বর্তমান গতির অন্তত আটগুন বেশি গতির ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। এতে করে বিদেশে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করাও যাবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড-বিএসসিসিএল কুয়াকাটার আমখোলা পাড়ায় ১০ একর জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে ২০১৩ সালে । সাগরতলে বিশেষ ধরনের তার দিয়ে দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর সাথে মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর ইন্টারনেট সংযোগ সৃষ্টিই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ।
সি মি ই্উ-৫ নামে পরিচিত এই প্রকল্পে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করতে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ল্যান্ডিং স্টেশন, সংযোগ লাইন, ফাংশনাল বিল্ডিংসহ প্রায় সব অবকাঠামোর কাজ। এখন চলছে কক্সবাজারের সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের ব্যাকবোনের সাথে যুক্ত করার কাজ।
বর্তমান কাঠামোয় প্রতি সেকেন্ড সর্বোচ্চ ২০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে আইসিটি ও টেলিকম কোম্পানিগুলো। একমাত্র লাইন হওয়ায় মাঝে মধ্যেই ভূগর্ভস্থ তার কাটা পড়াসহ না বিড়ম্বনা সইতে হতো দেশবাসীকে। এই সংকট উত্তরণে প্রায় দেড় হাজার জিবিপিএস ক্ষমতা গতিসম্পন্ন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন নির্মাণ শুরু হয়।
দ্বিতীয় ল্যান্ডিং স্টেশনে যুক্ত হওয়ার পর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের গতি বাড়বে আট গুণেরও বেশি। সুযোগ হবে ব্যান্ড উইথ রপ্তানিও।
সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিসর, ইতালি, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও ফ্রান্সসহ ১৯টি দেশ ক্যাবলের মালিক।
সূত্র: ইনডিপেডেন্ট টিভি.