আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত শাসিত কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধের মধ্যেই পাকিস্তান নিয়ে ক্রমশ কৌশল বদলাচ্ছে মোদির সরকার। গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন দিল্লির লালকেল্লার সমাবেশ থেকে পাকিস্তানের বালুচিস্তান ও গিলগিটের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে পাক শাসিত কাশ্মীর ভারতের অংশ বলেও মন্তব্য করেছিলেন মোদি। আর এবার একধাপ এগিয়ে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাক শাসিত কাশ্মীরের মানুষদেও আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেই পাক শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের এই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে ‘ভারতীয় সীমানায় জঙ্গি হামলা/ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা/ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর হামলা/ সীমান্ত সন্ত্রাস/ আইইডি(ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে নিহতদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প’ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়। সেইমতো পাক শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও ওই একই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সম পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার পর মুহূর্ত থেকেই ওই অনুদান কার্যকর করা হচ্ছে। সময় নষ্ট না করেই, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের হাতে সরকার ওই অর্থ তুলে দেবে।
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘ভারতের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে বহুদিন ধরেই দাবি জানানো হচ্ছিল। এরপর ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসেন। ভারতের কাশ্মীরের মতো পাক শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও এবার ক্ষতিপূরণ পাবেন। তিনি বলেন পাক শাসিত কাশ্মীর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং জঙ্গি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাও ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি জানাতে পারেন’। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের ক্ষমতা অনুযায়ী পাক শাসিত কাশ্মীরেও একই আইন প্রয়োগ করা হবে। সেখানে বসবাসকারী আমাদেরই নাগরিক তাই সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তরাও ভারতের মতোই সুবিধা পাবেন’।