সোমবার, ২৭শে আগস্ট, ২০১৮ ইং ১২ই ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘মিনি কক্সবাজার’নামে খ্যাত নাসিরনগর-সরাইল সড়কের আকাশীর বুকে দর্শনার্থীদের ভিড়

আকতার হোসেন ভুইয়া, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা : ঈদকে ঘিরে দর্শনার্থীর পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত নাসিরনগর-সরাইল সড়কের আকাশী হাওর।ঈদুল-আজহার নামাজের পর পরই শুরু হয় মানুষের আসা-যাওয়া।বেলা বাড়ার সাথে সাথে সব বয়সের মানুষ আসতে থাকে ধরন্তী-পুটিয়ার আকাশী হাওরে। গত তিনদিন ধরে বাধঁ ভাঙ্গা জোয়ারের মত মানুষের ঢল নামে আকাশী হাওরে।তবে শিশু,কিশোর ও নারীর সংখ্যা অনেক বেশী। নাসিরনগর-সরাইল উপজেলায় সরকারি-বেসরকারিভাবে কোথাও গড়ে উঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র।তাই ঈদ উৎসব ও পূজা পারণে এলে কর্মস্থল থেকে ছুটিতে আসা বিনোদন প্রেমিরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এখানেই ভিড় করেন।

এবারের ঈদ উৎসবেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,নাসিরনগর-সরাইল উপজেলার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরতে এসেছেন।কেউবা এসেছে কার,মাইক্রোবাস,মিনিবাস,অটোরিকশা,মোটরসাইকেলে করে।এ যেন দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে।প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন পানিতে আকাশী হাওর থৈ থৈ পানির মাঝে পিচঢালা পথ।দেখে মনে হবে এ পথটি যেন পানিতে ভাসছে। সূর্যের আলোয় চিকচিক করে জলরাশি। চারদিকে সবুজ শ্যামল গ্রাম বেষ্ঠিত বিশাল বিস্তৃত আকাশী হাওর সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করে। দিগন্ত জোড়া এই হাওরের পশ্চিম প্রান্তে মেঘনা আর পূর্ব প্রান্তে তিতাসসহ অসংখ্য ছোট খাল,বিল ও জলাশয় রয়েছে।

দুরে-দুরে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট গ্রাম যা দেখতে অনেকটা দ্বীপের মত আর বিকেলে স্নিদ্ধ বাতাস,দলায়িত ঢেউ,নৌকায় ঘোরাঘুরি আর শেষ বিকেলের সূর্যান্ত এ যেন এক অপরুপ দৃশ্য,যা দেখতে ভালই লাগে। ফলে দর্শনার্থীদের ভিড়ে বিল আকাশী মুখরিত হয়ে উঠে। তাই এলাকাবাসী নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হাওরের পেট কেটে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কটি নির্মাণ হয়।

ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা জানান,নাসিরনগর-সরাইল সড়কে ধরন্তী-পুটিয়া নামক স্থানে মনোরম পরিবেশে নির্মিত এই বিনোদন স্থানটি দেখতে এসেছি। তবে এখানে বসার ব্যবস্থা,টয়লেট,নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবসহ খাবার ব্যবস্থা না থাকায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তবে বিল আকাশীর বুক দিয়ে নির্মাণ হওয়ায় হাওর বেষ্টিত খেয়াঘাট এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। হাওরটি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বলে দর্শনার্থীরা মনে করেন।