ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ক্ষোভ, কার্যালয়ে তালা
দেশজুড়ে গেল মাস থেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল তাদের থানা ও জেলা পর্যায়ে নতুন কমিটি দেওয়া শুরু করে। কমিটি দেওয়ার পর থেকে কমিটিতে স্থান না পাওয়া নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। ঈদের আগে স্বল্প সময়ের জন্য মহাসড়ক আটকিয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন।
ঈদের পর দেশের আরও কয়েকটি জেলায় কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। গেল শনিবার রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই জেলা ছাত্রদলের ছয়টি থানা ও তিনটি কলেজের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার জেরে রোববার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা দেয় ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা
কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর মালোপাড়া ভুবন মোহন পার্ক এলাকার দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।
মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কাউকে না জানিয়ে শনিবার রাতে মহানগরীর ছয়টি থানা ও তিনটি কলেজ শাখার ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ছাত্রদলের এই নেতার দাবি, ‘কমিটি ঘোষণা নিয়ে আমি মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের সঙ্গে কথা বলেছি।কিন্তু, মহানগর বিএনপির ওই দুই নেতা কমিটি ঘোষণা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে আমাকে জানান।’
ওই জেলায় প্রাথমিকভাবে মহানগরীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার, শাহমখদুম, কাশিয়াডাঙ্গা, চন্দ্রিমা থানা ও রাজশাহী সিটি কলেজ, রাজশাহী কলেজ ও নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে বরিশালে কমিটি নিয়ে ছাত্রদের দুগ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শনিবার পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা নিজ জেলা বরিশালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করা হয়। কার্যালয়ের সামনে রাজিবের ছবি টানিয়ে ঝাঁড়ু প্রদর্শন করা হয়।
পদবঞ্চিত এবং পদ পাওয়া অনেক নেতাদের দাবি, কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়রের কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। অনেক জুনিয়রদেরও বড় পদ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক সিনিয়র কর্মীদের মূল্যায়নও করা হয়নি। কমিটিতে যারা ত্যাগী তার বঞ্চিত হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথা হয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, আমাদের কাছে এমন ঘটনার তথ্য নেই। আমি ঢাকার বাইরে আছি। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।