বিএসএমএমইউ হাজার শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ১৩ সেপ্টেম্বর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বহুলকাক্সিক্ষত এক হাজার শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
বিএসএমএমইউ’র উত্তর দিকে ১২ বিঘা জমির ওপর এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় এ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্প অনুমোদন দেন। এরপর বিএসএমএমইউ’র সঙ্গে ইউলজি ইউনিভার্সিটির একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভবনটির নকশা প্রকাশ হয়েছে। হাসপাতাল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। কোরিয়া সরকারের পক্ষে ব্যাংকটি বাংলাদেশ সরকারকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে। শতকরা দশমিক শূন্য ১ শতাংশ হার সুদে ৪০ বছরে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। হাসপাতালের আয় ও সরকারের তহবিল থেকে যৌথভাবে এই ঋণ শোধ করার কথা।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে থাকবে- লিভার গল ব্লাডার ও প্যানক্রিস সেন্টার, অরগান ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার, ক্যানসার সেন্টার, ম্যাটারনাল ও চাইল্ড, হেলথ কেয়ার সেন্টার, ডেন্টাল সেন্টার, কার্ডিও ভাসক্যুলার, নিউরোসার্জারি সেন্টার, এনড্রোক্রানোলজি ডায়াবেটিস সেন্টার, রেসপিরেটরি সেন্টার, জেরিয়েট্রিক সেন্টার, জয়েন্ট/স্পাইন কর্ড সেন্টার, হার্ট সেন্টার, বার্ন ইনজুরি সেন্টার, হেলথ স্ক্রিনিং সেন্টার, ইমারজেন্সি মেডিক্যাল সেন্টার, এমবুলেটরি সার্জারি সেন্টার ও কিডনি মেশিন সেন্টার (হিমোডায়ালাইসিস সেন্টার)।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে- বিশেষায়িত হাসপাতালটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণা কেন্দ্র। বর্তমানে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হয় সেসব পরীক্ষা এখানে চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য- চিকিৎসকদের জন্য অত্যাধুনিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা এবং বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ও জনগণের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।