কসবায় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা চক্রের শিকার স্কুল শিক্ষিকা
কসবা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রতারণার করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এর মাধ্যমে এক স্কুল শিক্ষিকার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারকচক্রটি ওই শিক্ষিকার বেতন ভাতা উত্তোলনের ব্যাংক হিসাব ও বিকাশ নাম্বারের গোপন পিন কোড কৌশলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মিনা রাণী ভৌমিক গত ২১ আগস্ট কসবা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন। মিনা রাণী ভৌমিক কসবা উপজেলার শিমরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে; গত ২০ আগস্ট রাতে মিনা রাণী ভৌমিকের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বেসরকারী কোম্পানী বাংলালিংক অফিসের পরিচয়ে ফোন আসে। তাকে জানানো হয় আপনী দীর্ঘদিন বাংলালিংক ব্যবহার করায় আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি বাংলালিংক কোম্পানী থেকে আপনাকে এক বৎসরের জন্য একটি প্যাকেজ দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে আপনি এক বৎসর যেকোন নাম্বারে যা ইচ্ছা কথা বলতে পারবেন। তাছাড়া বাংলা লিংক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সেরা ২০জনকে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে আপনিও একজন। আপনী পাবেন ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মিনা রানী ভৌমিক বলেন, প্রতারক চক্রটি ৫ লাখ টাকা পাঠানোর একটি ভূয়া একটি ম্যাসেজ পাঠিয়েছে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে। ওই টাকা উত্তোলন করতে কমিশন বাবদ ৯২ হাজার ৮শ টাকা এবং জনতা ব্যাংক কসবা শাখার হিসাব নম্বার ও বিকাশ হিসাবের গোপন নাম্বার কৌশলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন; রাতেই তিনি শিমরাইল বাজার থেকে প্রতারকদের ৩টি বিকাশ নাম্বারে ৪৫ হাজার টাকা পাঠাই। পরে তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার, তাকে পাঠানো ম্যাসেজ ছিলো ভূয়া ।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মালেক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। মোবাইল বিশেষজ্ঞ টিমে সহযোগিতায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।