নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে হরিলুট চলছে। হতদরিদ্রদের চাল শাসক দলের সচ্ছল লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গরিবেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার এক টুইটবার্তায় খালেদা জিয়া এই অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘হতদরিদ্রদের নামে বরাদ্দ করা ১০টাকা কেজি দরের চাল সারা দেশে আওয়ামী লীগের সচ্ছল লোকেরা লুটেপুটে খাওয়ার সংবাদে আমরা লজ্জিত ও স্তম্ভিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ সেপ্টেম্বর ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এই চাল কালোবাজারি থেকে শুরু করে বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন দলের স্বচ্ছল নেতারাও হতদরিদ্র হিসেবে নিজেদের নাম তালিকায় উঠিয়ে চাল নিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
এই চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ৫ অক্টোবর সংসদে বক্তব্য দেন। এরপর আট বিভাগের জন্য আটটি তদন্ত দল গঠন করে অনুসন্ধান চালিয়ে ৪৪ ব্যবসায়ীর ডিলারশিপ বাতিল করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
টুইটে খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘আমরা সরকার পরিচালনার সময়ে মোটা চালের দর ২০০৭ সাল পর্যন্ত কেজিপ্রতি ১৪/১৫ টাকায় সীমিত রেখেছি। কখনো একটু দাম বাড়লে বা অনটনের সময়ে আমরা হতদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে খয়রাতি সাহায্যের পাশাপাশি কম দামে চাল খোলাবাজার বিক্রি বা ওএমএস চালু করেছি। তাতে গরিবরা পাঁচ কেজি পর্যন্ত চাল কম দামে কিনতে পারত। এখন শুধু কার্ডধারীদের জন্য ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার নিয়ম করে সেই কার্ড শাসক দলের সচ্ছল লোকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে চলছে হরিলুট। গরিবেরা বঞ্চিত হচ্ছে। গরিবের মুখের গ্রাস এভাবে কেড়ে নিয়ে লুটে খাওয়ার সুবিধা বিনা ভোটের সরকার করে দিয়েছে।’