নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণাবড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সদর দপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্ত কমিটি প্রধান চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে ৪সদস্যের তদন্ত সদস্য ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। এদিকে, এ ঘটনায় জাসদের নেত্রী শিরিন আক্তার এমপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, অতীতের সাম্প্রদায়িক হামলা ও নাসিরনগরের হামলার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। অপর দিকে, এ ঘটনায় এর আগে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে প্রত্যাকটি ৩সদস্য বিশিষ্ট পৃথক পৃথক ভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত নামা আড়াইহাজার জনকে আমামি করে মন্দিরের পুরহিত বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার আরো একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১১জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল আদালত সূত্রে জানাযায়, ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র কওে ছবি পোষ্ট করার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানায় দায়েরকৃত তথ্য ও যোগ যোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মামলায় গ্রেফতার হওয়া রসরাজ দাসকে সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পওে পুলিশ তাকে ৭ রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক সুলতান সোহাগ উদ্দিন রসরাজের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
উল্লেখ, গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস (২৭) নামে এক যুবক পবিত্র কাবা ঘরের ছবি এডিট করে এর উপর শিবমূর্তি বসিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।