নিউজ ডেস্ক : ভ্যাট আইনের সংশোধনীর দাবিতে রাজধানীর সকল মার্কেট বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছে দোকান মালিকদের সংগঠন ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হয়রানি বন্ধ ও বর্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।
ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব বলেন, আজ কোনো পণ্য বিক্রি করা হবে না। আমরা ব্যবসায়ীরা দোকানে সামনে বসে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাংচুর বা এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করছি না। আমাদের কর্মসূচি যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ।
ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের এই নেতা বলেন, ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া ও এনবিআর কর্মকর্তাদের অযৌক্তিক হয়রানির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালনে বাধ্য হয়েছেন তারা।
তাদের দাবি মানা না হলে আরও বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে আবু মোতালেবে বলেন, লাগাতার সকল মার্কেট বন্ধ রাখা হবে। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয়া হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় কর্মসূচি দেব। আমাদের দাবির সঙ্গে এফবিসিসিআইসহ সকল ব্যবসায়ী মহলের সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যবসাখাতে ভ্যাট সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান এবং এনবিআরের কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধের জন্য এফবিসিসিআই’র মাধ্যমে একাধিবার এনবিআরের সঙ্গে বসা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই’র নেতাদের নিয়ে তিনবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভ্যাট কর্মকর্তারা ছোট ব্যবসায়ীদের খাতাপত্র জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছে, চিঠি দিচ্ছে। এ কারণে ছোট ইন্ডাস্ট্রির মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এক কথায় ক্ষুদ্র শিল্পে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ীদের এই নেতা বলেন, এমন অবস্থায় আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর একই দাবিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনের সামনে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের ব্যানারে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ওই দিন ২ নভেম্বর রাজধানীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন তারা।
ব্যবসায়ীরা ঐক্য ফোরাম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এরপরও তাদের দাবি মানা না হলে তারা এফবিসিসআই, এনবিআর ঘেরা করবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
গত ২৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম।