ডেস্ক রিপোর্ট : সন্ত্রাস নির্মূলে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করলেও ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিরাপত্তায় সে ধরনের পদক্ষেপ এখনও গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর মৌলবাদীদের আক্রমণের প্রতিবাদে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় সর্বস্তরের মানুষের এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করা হয়।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, ওই হামলায় ৩শ’ বাড়িঘরে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ১৫টি মন্দির ও অসংখ্য মূর্তি ভাঙা হয়। এখনও ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সমাজকর্মী সৈয়দ মোহাম্মদুল্লাহ। আয়োজকদের অন্যতম শিতাংশু গুহ প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সন্ত্রাস দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিচ্ছে না কেন?’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুক্তরাষ্ট্র চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর বলেন, ‘ধর্ম-নির্বিশেষে সবাই মিলে আমাদের মৌলবাদ ঠেকাতে হবে। মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণঐক্য রচনা করতে হবে।’
নির্মূল কমিটির সেক্রেটারি স্বীকৃতি বড়ুয়া সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট গোপাল স্যানাল বলেন, ‘আর কত ঘটনা ঘটলে সরকারের টনক নড়বে?’
যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর সহ-সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন কেন মৌলবাদীদের মিছিল করার অনুমতি দিল এবং উত্তেজনা বাড়ার পরও কোন ব্যবস্থা নিল না?’
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মুহম্মদউল্লাহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘মৌলবাদীরা আবারও চেষ্টা করছে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টের। তার সরকারের সকল স্তরে সজাগ থাকতে হবে।’
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নবেন্দু দত্ত, খোরশেদুল ইসলাম, টমাস দুলু রায়, আব্দুর রহিম বাদশা, বেলাল বেগ, রবীন্দ্র সরকার, অবিনাশ আচার্য্য, লুৎফুন্নাহার লতা প্রমুখ।