বিশ্বকাপে বিদায়ের দিনে ‘অদ্ভুত’ মিল দুই তারকার!
রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় দুই তারকার। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে কষ্ট বেশি হওয়ার কারণ একই দিনে বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে ছিটকে গেলেন মেসি-রোনালদো।
নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে লিওনেল মেসিরা ম্যাচ হারে ৪-৩ ব্যবধানে। আর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বিধ্বস্ত হয় ফুটবলের আরেক কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।কাভানি-সুয়ারেজ জুটিতে প্রথমার্ধে সাত মিনিটে দুই উরুগুয়ান জুটির সামনে গোল হজম করে পর্তুগাল।দ্বিতীয়ার্ধেও উরুগুয়ের নায়ক সেই কাভানি। ৬২ মিনিটে ডান পায়ের বাঁকানো শটে স্কোরলাইন ২-১ করেন কাভানি। ওখানেই শেষ পর্তুগাল।
বিশ্বকাপের এই দুই মহা তারকার বিদায়ের দিনে মিল খুঁজলে অনেক মিলই পাবেন।
দুই তারকারই এটা ছিল অঘোষিত শেষ বিশ্বকাপ। দুই তারকাই ছিটকে গেলেন নক আউট পর্ব থেকে। সেটাও একই দিনে। দুই তারকার দলই ছিটকে গেল এক গোলের ব্যবধানে। কাভানিদের কাছে রোনালদোর পর্তুগালের হার ২-১ গোলে। আর আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের কাছে হারে ৪-৩ গোলে। দুই ম্যাচেই কিন্তু তারকা রোনাল্ডো-মেসি গোল পাননি। ফ্যানেদের মনে এরাই কিন্তু ‘গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম’ বলে সন্মান পান। কিন্তু দলকে শেষ রক্ষা করতে পারেননি দুজনের কেউই।
আরও মিল আছে। রাশিয়ার মাটিতে দুই তারকাই গ্রুপ পর্বে একটি করে পোনাল্টি মিস করেছেন। সেটা না হয় গ্রুপ পর্বের কথা। শেষ ষোলোর লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার পর পরিসংখ্যানে উঠে আসছে আরও অনেক তথ্য। এক নজরে চোখ রাখা যাক সেদিকে।
বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে আজ পর্যন্ত গোল পাননি দুই তারকা। রোনালদো নক আউট পর্বে খেলেছেন ৫১৪ মিনিট। আর মেসি খেলেছেন ৭৫৬ মিনিট। এই দুই সেরা তারকার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে গোল না পাওয়ার অদ্ভুত রেকর্ড রয়েছে। চলতি বিশ্বকাপেও সেই রেকর্ড অক্ষত রয়ে গেল।
মেসি- বিশ্বকাপের ৮টি নকআউট ম্যাচ খেলেছেন। গোলমুখে শট নিয়েছেন-২৩ টি, গোলের সংখ্যা-০।
রোনালদো- বিশ্বকাপের ৫টি নকআউট ম্যাচ খেলেছেন, গোলমুখে শট নিয়েছেন ২০টি , গোলের সংখ্যা-০।