নির্মাণের ৩ দিনেই ৪৫ কোটি টাকার রাস্তায় ফাটল!
৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডু ভায়া ভালকী বাজার রাস্তার একটি অংশ নির্মাণ কাজ চলা অবস্থায় ফাটল ধরেছে। এছাড়া উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চারাতলা নামক স্থানে ১০/১৫ ফুট জুড়ে রাস্তার একাংশ দেবে গেছে। সম্প্রতি হরিণাকুন্ডুর পায়রাডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ূন কবির মণ্ডল নামে এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক ওয়ালে ছবিটি পোস্ট করলে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাস্তা নির্মাণের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে এলাকাবাসী।
ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ মে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া থেকে হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ৪ গ্রুপের এই কাজটি পায় আরএবি-অরাসি ও জহুরুল লিমিডেট জয়েন ভেনচার। ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে ১০ শতাংশ লেসে কাজটি শুরু হলে প্রথম থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। হরিণাকুন্ডুর পারমথুরাপুর স্থানে গত বছর কাজের অনিয়ম ধরা পড়লে গ্রামের মানুষ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে ঠিকাদারের লোকজন ভাল কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে আবার কাজ শুরু হয়।
হরিণাকুন্ডুর চারাতলা, ভালকী, পায়রাডাঙ্গা ও শিতলী গ্রামের অংশে সড়কটিতে এখন পিচ দেয়ার কাজ চলছে। গত মঙ্গলবার রাস্তাটি পিচ করার পরপরই (ক্র্যাক) ফাটল ধরে। এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়। রাস্তা নির্মাণের মান নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তোলে। বেইজ তৈরিতে নিম্নমানের উপরকণ ব্যবহার ও যথাযথভাবে সিডিউল না মানার কারণে তিন দিনের মাথায় রাস্তাটিতে ফাটল ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে রাস্তার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী (এসও) জাহাঙ্গীর আলমকে শনিবার ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাস্তাটি ক্র্যাক হওয়ার খবরটি আমি শুনেছি। বৃষ্টির কারণে এমন সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। ২০ কিলোমিটারের বড় রাস্তা তো একটু সমস্যা হতেই পরে। এটা অবশ্যই মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।