পেইন কিলার খেয়ে ‘সমকামী’, দাবি যুবকের!
নিয়মিত পেইন কিলার সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। পেইন কিলার খান এমন এক ব্যক্তি সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য জানিয়েছেন। এক যুবকের দাবি, লিরিকা ব্র্যান্ডের ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পর থেকে তিনি সমকামী হয়ে গিয়েছেন।ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সমকামী দাবি করা এই যুবকের নাম স্কট পার্ডি (২৩)। সে ইংল্যান্ডের নাগরিক।
স্কটের অভিযোগ, প্রিগাবালিন (ব্যথানাশক) নামে এই ওষুধ খাওয়ার পর থেকে তার চিন্তাশক্তির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তার বিভিন্ন আচরণগত সমস্যাও দেখা দেয়। তার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু পরিবর্তনের ফলে একটা সময়ের পর স্কটের বান্ধবীও তাকে ছেড়ে চলে যান।
স্কট আরও দাবি করেন, ইদানীং নারীদের চেয়ে পুরুষদেরই তার বেশি ভালো লাগে।
দ্য সানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ওষুধটির বিষয়ে ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা জানায়, লিরিকা ব্র্যান্ডের প্রিগাবালিন ট্যাবলেটটি মৃগীরোগ, উদ্বেগ বা ব্যথা নিবারণে সেবন করা হয়। অন্যান্য ওষুধের মতো এটিরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজনের ওষুধটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে সিদ্ধান্তহীনতা, অস্বাভাবিক কল্পনায় বিচরণ, ব্যক্তিত্বহীনতা, হীনমন্যতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
তবে স্কট পার্ডির এই দাবির সত্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুললেও কথায় কথায় ব্যথানাশক ওষুধ (পেইন কিলার) খাবার অভ্যাস কিন্তু মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন…
১. প্যারাসিটামল কিংবা ব্যথানাশক ওষুধের দীর্ঘকালীন ব্যবহারে যকৃতের কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে।
২. কিডনির ওপর পেইন কিলারের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত পেইন কিলার সেবনের ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনি কার্যক্ষমতা হারাতে পারে।
৩. মাত্রাতিরিক্ত পেইন কিলার সেবনের ফলে পাকস্থলীর রক্ত ক্ষরণসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
৪. ২০০৮ সালে শিশুদের ওপর এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, দীর্ঘকালীন প্যারাসিটামল কিংবা পেইন কিলার ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে হাঁপানির উপসর্গ প্রকাশের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
৫. মাত্রাতিরিক্ত পেইন কিলার খেলে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যথাসময়ে চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।