যে ৪ কারণে হেরেছে আর্জেন্টিনা
শনিবার কাজানের শেষ ষোলর প্রথম খেলায় ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে এই প্রথম ফরাসিদের কাছে হারল দলটি। অথচ লিওনেল মেসির নেতৃত্বে ফেভারিট তকমা নিয়েই রাশিয়া গিয়েছিল লাতিন এই দলটি। কিন্তু প্রায় অনভিজ্ঞ তরুণ ফ্রান্সের কাছে কেন হারল আর্জেন্টিনা—আসুন, জেনে নেওয়া যাক তার ৪টি প্রধান কারণ—
অতিরিক্ত মেসি নির্ভরতা
দীর্ঘদিন ধরেই আর্জেন্টিনা দলটি মেসি নির্ভর। যেদিন জ্বলে ওঠেন মেসি, সেদিন অপ্রতিরোধ্য আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসি ব্যর্থ হলেই সাধারণ মানের দলে পরিণত হয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। চলতি বিশ্বকাপেও মেসি নির্ভরতা কাটাতে পারেনি দলটি। এবারের টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই অনুজ্জ্বল ছিলেন মেসি। আর আর্জেন্টিনাও ধুকে ধুকে উঠেছে নক আউট পর্বে। প্রতিপক্ষের জালে ৩ ম্যাচে মাত্র ৩টি গোলই দিতে পেরেছে তারা। ফলে মেসিকে আটকাতে পারলেই আর্জেন্টিনাকে হারানো সম্ভব। এ বিষয়টি ভালভাবে বুঝেছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশম। তাই ম্যাচের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, জিততে হলে নিষ্ক্রিয় রাখতে হবে মেসিকে। আর মাঠে তাতে পুরোপুরি সফল তার শিষরা। ম্যাচ শেষে সেই কথাও জানিয়েছেন দেশম।
দুর্বল ডিফেন্স
এবারের টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই ব্যর্থ ছিল আর্জেন্টিনার ডিফেন্স। গ্রুপপর্বের ৩ ম্যাচে ৫ গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। ফেভারিট দলগুলোর মধ্যে আরো কোন দলকেই গ্রুপপর্বে এত গোল হজম করতে হয়নি এবার। সেই দুর্বল ডিফেন্স নিয়েই কিলিয়ান এমবাপে-আতোয়াঁ গ্রিজমানদের সামনে পড়েছে আর্জেন্টিনা। সুতরাং ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এক ম্যাচেই খেয়ে বসেছে ৪ গোল।
মাঝমাঠের ব্যর্থতা
ডিফেন্সের মতো মাঝমাঠেও আর্জেন্টিনার ছিল না কোন চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স। পল পগবা, এন’গোলো কান্তেরা যখন মাঝ মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডররা তখন হতোদ্যম। ফলে ঠিক মতো বলের জোগান পাচ্ছিলেন না মেসি।
পরিকল্পনার দুর্বলতা
আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল পরিকল্পনায়। প্রতিপক্ষের কৌশল ও সামর্থ্য বুঝে পরিকল্পনা করতে পারেননি কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। মাঝ মাঠে কান্তে-পগবার সামর্থ্য ও আক্রমণভাগে এমবাপের গতির মোকাবেলা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। ফলে যখন তখনই এমবাপে আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ভেঙে ঢুকতে পেরেছিলেন।