‘২০২২ বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোর না খেলাটা হবে লজ্জার’
তারা দুজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মিশন থেমে গেছে দ্বিতীয় পর্বেই। একই দিনে দুই মহাতারকার বিদায় ঘন্টা বেঝেছে। অথচ দুই বিশ্বসেরা তারকার কাঁধেই ছিল নিজ নিজ দেশের প্রত্যাশার ভার।
চারটি করে বিশ্বকাপ খেলে ফেললেন দুজনই। এদিকে বয়স ত্রিশ পেরিয়েছে দুজনেরই। পরের বিশ্বকাপে তাই তাদের দেখা যাবে না এমনটাই ধারনা সবার। একারণেই এবারের বিশ্বকাপকে মেসি ও রোনালদো দুজনের জন্যই শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় রোনালদোর সতীর্থ গ্যারি নেভিল মনে করছেন মেসি-রোনালদোকে ২০২২ বিশ্বকাপে না দেখাটা হবে লজ্জার। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে দেখতে চান মেসি ও রোনালদো দুজনকেই।
একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যারি নেভিল বলেন, ‘এটি হবে লজ্জার যদি আমরা মেসি ও রোনালদোকে পরের বিশ্বকাপে না দেখি। তারা এখনো অবিশ্বস্য খেলোয়াড়।’
রোনালদোর বয়স ৩৩। অন্যদিকে মেসি এই বিশ্বকাপেই ৩১ এ পা দিলেন। তাই মেসির বেলায় পরের বিশ্বকাপ খেলা অসম্ভব কিছু নয়। নেভিল তাই বলছেন, ‘মেসির দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে হয়তো এটা হতে পারে। রোনালদো চিরদিনের জন্য বিদায় বলতে চান বলে মনে হচ্ছে।’ কিন্তু এরপরই নেভিলের প্রশ্ন, ‘কেন তারা অবসরে যাবে? পুরো দেশের প্রত্যাশার ভার তাদের কাঁধে।’
ইংল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক ফুটবলার লি ডিক্সন মনে করেন, ‘রোনালদো এমন একজন যিনি উপযুক্ত এবং প্রেরণা জোগান।’ নেভিলের মতো তারও প্রশ্ন, ‘তারা কিভাবে এই পরিস্থিতে ছেড়ে আসবে? আমরা অন্য কাওকে অবসরে যেতে দেখতে পারি। কিন্তু এটা নির্ভর করছে তাদের উপর।’
শনিবার রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। একই দিন পরের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে পর্তুগাল।