আখাউড়ায় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত
বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার তিতাস নদীর পাড় এবং আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর। দুটি স্পটের দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন। এতে করে এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটছে।
স্থানীয়রা বলছেন, চট্টগ্রাম-আখাউড়া-সিলেট ও চট্টগ্রাম-আখাউড়া-ঢাকা রেলপথের তিতাস ব্রিজ এলাকা ভ্রমণপিপাসীদের কাছে দিন দিন প্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রতিদিন বিকাল থেকে তিতাস নদীর পাড়ে রেলক্রসিং এলাকায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমছে। পর্যটকরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখেছেন। আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের নোম্যান্সল্যান্ডে পতাকা উৎসব দেখার জন্য শত শত পর্যটক জড়ো হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আখাউড়া তিতাস নদীর পাড়ে এবং আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর এলাকায় সমাগম হয়েছিল অসংখ্য পর্যটকের। প্রাইভেটকার, মাইক্রো, বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে করে পর্যটকরা স্পটগুলোতে এসে এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ও খাবারের দোকান সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।
অনেকেই নৌকা ও স্পিডবোটে তিতাস নদীতে ভ্রমণ করেন। এতে করে দর্শনার্থীদের আগমনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মাঝিদের বাড়তি আয় হচ্ছে।
তিতাসের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন শিউলী বেগম ও ও মজিদের পরিবার। তারা বলেন, তিতাস নদীর পূর্বপাড়ের স্পটটি আমাদের খুব প্রিয়। সুযোগ পেলেই আমরা এখানে ছুটে আসি ও নৌকা ভ্রমণ করি। রেলক্রসিং এলাকা পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে উল্লেখ করে এ দম্পতি এ পথে চলাচলকারী ট্রেনের গতি কমানোর পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানান তারা।