রবিবার, ১লা জুলাই, ২০১৮ ইং ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেখা মিলল এই নাচের রাণীর…(ভিডিও)

ঝিনাইদহে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেখা মিলল এই নাচের রাণীর…(ভিডিও)

অন্যরা যা পড়ছেন… সেই রাতে উত্তেজনার বশে কাজটা করে ফেলেছি, অতঃপর …
“প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে লিখছি। জীবনটাকে অর্থহীন মনে হচ্ছে। হয়তো অনেক বড় হয়ে যাবে লিখাটা। তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। শুরু থেকেই বলি…

জীবনে কখনও প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াতে চাই নি। HSC তে যখন পড়ি, সব বান্ধবীরা প্রেম করত, কেউ সিরিয়াস হয়ে, আবার কেউবা মজা করে। ফোনও ব্যবহার করতাম না। টেস্ট পরীক্ষার পর পড়াশোনার কারণে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে একটা সাধারণ ফোন কিনি। ফোনেই অপরিচিত নাম্বার থেকে পরিচয় হয় একজনের সাথে।আমার ১ ব্যাচ সিনিয়র। ছোট ছিলাম, তেমন বুঝতাম না। সে তখন ভর্তি কোচিং করে। কীভাবে যেন সম্পর্কে জড়িয়ে যাই তার সাথে। খুব বেশী দূর্বল হয়ে পড়েছিলাম তার প্রতি। একই শহরে থাকতাম, তাই প্রায়ই দেখা হত। তার আসল রূপটা জানতাম না তখন। ১ বছর পর জানতে পারি সে আসলে একটা প্লে বয়। মেয়েদের সাথে মজা করা তার স্বভাব। এমনকি তথনও আমি ছাড়াও তার আরোও ২-৩ জন প্রেমিকা ছিল। অগনিত মেয়ের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। যা সে নিজেই স্বীকার করেছে।এতটা আপসেট হয়ে যাই, সুইসাইড করতে চাই। ১ বার ২ বার না, অনেকবার। ৭-৮ বার তো হবেই। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, আর মাঝে মাঝে কাকতালীয় ভাবে বেঁচে যাই। মানুসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাবা মা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দেখায়। চিকিৎসা চলে অনেকদিন। এতকিছুর মাঝে ভাল কোথাও ভর্তি হতে পারি না। তবুও ভাগ্যের জোড়ে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই।

আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা

১ টা বছর গ্যাপ যায়। পোড়া কপাল যদি এখানেই শেষ হত, খুব ভাল হত। কিন্তু না।তখন কোন এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে আবার একজনের সাথে পরিচয় হয়। খুব ভাল মানুষ মনে হয়েছে আমার কাছে। তখন দ্বিতীয় বারের মত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করি। একই ব্যাচ। পড়াশোনার ব্যাপারে অনেক সাহায্য করতে চাইত। কিন্তু মানসিক ভাবে ঠিক ছিলাম না, তাই পড়ার ব্যাপারে ছিলাম উদাসীন। আমাদের প্রতিদিনই কথা হত, কিন্তু পুরোটাই পড়ার ব্যাপারে। সে আমার ব্যাপারে সব জানত। একদিন আমাকে প্রোপোজ করে বসে। আমি রাজি হই না। কারণ সে অনেক ভাল ছিল, কিন্তু আমি তাকে ভালবাসতে পারব না। তাই তাকে ঠকাতে চাই নি।কিন্তু সে বলত, আমার তাকে ভালবাসতে হবে না। সে একাই আমাকে ভালোবাসবে। আমাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিবে। দিয়েছিলও তাই। আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুত্ব থেকে কবে যেন প্রেমে রূপ নিল, বুঝতেই পারলাম না। তখন আমার মনে হত, সে আমার জীবনে ফেরেসতা হয়ে এসেছে। এতটা মানুসিক সাপোর্ট দিত। সব কষ্ট ভুলে গেছি। ওর উপর খুব বেশি ভরসা আর বিশ্বাস করে ফেলেছি। সে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পায়। তো সেখানে চলে যায়। ২-৩ মাসে একবার দেখা হয়।কিন্তু সম্পর্কটা ভালোই ছিল। কিন্তু ২.৫ বছর পর তার খারাপ ব্যবহার শুরু হয়। এতটা বেশি বাজে কথা। গালিগালাজ, আমাকে, আমার বাবা মা কে, যা মুখে আনা তো পরের কথা কল্পনাই করা যায় না।

তার এই আচণের কারণ বুঝতে পারছিলাম না। এমন একটা দিন যেত না, আমি কাঁদতাম না। এতটা কষ্ট, এতটা কান্না ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমাকে কুকুর বিড়ালের চেয়েও নিকৃষ্ট ভাবত। আমি দেখতে নাকি সুন্দর না, আমাকে দেখলে রুচি উলটে আসে, আরো কত কথা। দিনের পর দিন ফোন নাম্বার ব্লকলিষ্টে দিয়ে রাখত। আমি কষ্টে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাই, আর ফেসবুকে দেখি সে পার্টি করছে, তার অন্য বন্ধুর আইডিতে। কারণ আমাকে তো ব্লক করে রেখেছে।১ বছর পর জানতে পারি, তার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক চলছে ১ বছর ধরে, ফেসবুকে পরিচয়, তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের। শুধু তাই না,আগেও ছিল, একটা সিনিয়র মেয়ের সাথে। তাকে বললে সে পুরো অস্বীকার যায়।

উল্টা আমাকে দোষারোপ করে। এতকিছুর পরও তাকে ছাড়তে পারছি না, কারণ বিষয়গুলো আমার বিশ্বাস হয় না। মনে হয়, যাকে এতটা বিশ্বাস করছি, সে আমার সাথে এসন করতে পারে না। ২-৩ মাস পর হঠাৎ করে সে ভাল হয়ে যায়। এখানে এসে আমার সাথে দেখা করে যায়। সেই আগের মত। মনে হচ্ছিল, কষ্টের দিনগুলি এবার বুঝি শেষ হল। বলে রাখি সব খরচাপাতি খাওয়া দাওয়া, এমনকি মোবাইল বিল পর্যন্ত আমাকে দিতে হয়।সেদিন আমার হাত ধরে বলেছে, আমার উপর ভরসা রাখ, কোনদিন কষ্ট পাবে না। আমার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে কেউ তোমার ক্ষতি করতে পারবে না। তার এই কথা শুনে আবার তাকে বিশ্বাস করি, তার উপর সব রাগ ক্ষোভ দুর হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পর, এখন আবার সেই আগের মত খারাপ ব্যবহার, অ্যাভয়েড, গালিগালাজ, ব্লকলিষ্ট। কী করব বুঝতে পারছিনা। তাকে বিশ্বাস করতে পারছি না, আবার অবিশ্বাসও করতে পারছি না। আমি যাকে চিনি সে তো সম্পূর্ণ বিপরীত।

Print Friendly, PDF & Email