স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম ঘণ্টায় মাত্র ১ উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের। প্রথমে ইমরুল, মধ্যাহ্ন বিরতির আগ দিয়ে আউট হয়ে ফিরলেন সাকিব ও মুশফিক। লিডটাকেও ১২৮ থেকে ২১৮-তে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২৫৫। এতেই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। না হলে সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত যে ব্যাটিং, তাতে তৃপ্তি পাচ্ছে না কেউই।
শুরু থেকেই আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসান আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে গেলেন। আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা দোষের কিছু নয়, কিন্তু যখন একের পর এক শট খেলার চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে, তারপর তো অন্তত তাঁদের সে চেষ্টায় ক্ষান্ত দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি না করে ইংল্যান্ডের দুই স্পিনারের বিপক্ষে একের পর এক সুইপ আর রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করেই গেলেন। কখনো এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিস করলেন। ৭৪ রানে জাফর আনসারির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন ইমরুল। কিন্তু সেই সৌভাগ্যকে কাজে লাগাতে পারলেন না। একটু পরেই সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন এই ওপেনার। তাঁর রান তখন ৭৮। প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের ৫৫ রানের ১৬টিই এসেছে বাই থেকে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অননুমেয় ব্যাটিংয়ে ইংলিশ উইকেটকিপারও যে বিভ্রান্ত!
ইমরুল আউট হওয়ার পর নামলেন মুশফিকুর রহিম। তিনিও দ্বিতীয় বলেই তেড়েফুঁড়ে এলেন, বল ফিল্ডারের হাতে দেখেও রান নিতে চেষ্টা করলেন। সাকিব একটা চার মেরে পরের বলেই ডিপ মিড উইকেটে ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। বেন ডাকেট সেই ক্যাচ না ফসকালে ২৩ রানেই ফিরতেন সাকিব। সাকিব শেষ পর্যন্ত ৪১ রানে ফিরেছেন, আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে। স্টোকসের বলে স্লিপে কুককে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক।
আগের তিন ইনিংসে বাংলাদেশের শেষ দিকের ব্যাটিং যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে সাকিব ও মুশফিকের এই জুটির ওপরই নির্ভর করছিল বাংলাদেশের অনেক কিছু। কিন্তু বেন স্টোকসের বলে মুশফিকের বাজে শট সব কিছু ভেস্তে দিতে বসেছে।