২৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু আফসোস হয়ে থাকল দিনের শেষ বলটা। দ্বিতীয় দিনের অন্তিম বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১৫২ রান। মুশফিক বাহিনী পেয়েছে ১২৮ রানের লিড। ৫৯ রান করে অপরাজিত আছেন ইমরুল কায়েস।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে রান সংগ্রহ করছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। প্রথম ১২ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ৬৫ রান। কিন্তু পরের দুই ওভারে বাংলাদেশ হারায় দুটি উইকেট। ১৩তম ওভারে জাফর আনসারির বলে আউট হয়েছেন তামিম। প্রথম ইনিংসে শতরানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। পরের ওভারে বেন স্টোকসের শিকার হয়েছেন মুমিনুল। ফিরে গেছেন মাত্র ১ রান করে। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু দিনের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ হয়েছেন আনসারির শিকার। মাত্র তিন রানের জন্য পূর্ণ করতে পারেননি টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতক।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বল হাতেও ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করতেই আট উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেসময় লিড নেওয়ার আশাই ছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। কিন্তু নবম উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের বোলারদের অনেকক্ষণ ভুগিয়েছেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। এশিয়াতে এটাই ইংল্যান্ডের নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির নতুন রেকর্ড। ওকস ৪৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও রশিদ শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড পেয়েছে ২৪ রানের লিড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংসটি অবশ্য খেলেছেন ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আট উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ছয় উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। তিনটি উইকেট গেছে তাইজুল ইসলামের ঝুলিতে।