শাহরুখ-আমির-হৃত্বিকদের যত কুসংস্কার
বিনোদন ডেস্ক : কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সবসময় প্রমাণ সহকারে কথা বলে আসছে বিজ্ঞান। তারপরেও বিশ্বের অনেক বড় বড় তারকারা কিছু কুসংস্কারের বিশ্বাস করেন। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিও এর ব্যতিক্রম নয়। শাহরুখ খান, আমির খান কিংবা অক্ষয় কুমারদের মতো অনেক বড় তারকাদের বেশ কিছু ব্যক্তিগত অদ্ভুত ধ্যান-ধারণা রয়েছে। এবার জেনে নেওয়া যাক তারকাদের কুসংস্কার সম্পর্কে:
অমিতাভ বচ্চন : নিজের ক্যারিয়ারে বহু উত্থান-পতন দেখেছেন অমিতাভ বচ্চন। প্রথম দিকে একের পর এক ফিল্ম ফ্লপ করছে। তার পর একের পর এক ফিল্ম সুপার-ডুপার হিট। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকার সময় সর্বস্বান্তও হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় একজনের পরামর্শ মেনে নীলকান্তমণি ধারণ করেন। এর পর থেকেই নাকি তার ক্যারিয়ারে জোয়ার আসে। এখনও তার আঙুলে দেখা যায় এই মণি।
শাহরুখ খান : বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান আবার নম্বর নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। এটা তার কুসংস্কারও বলতে পারেন। শাহরুখ মনে করেন, ৫৫৫ নম্বরটা নাকি তার ক্ষেত্রে লাকি। তাই তার গাড়ি থেকে মোবাইল, সবেতেই ৫৫৫ নম্বরের ছড়াছড়ি।
আমির খান : বলিউডে তার উপাধি মি. পারফেকশনিস্ট। কিন্তু শাহরুখ খানের মতোই বলিউডের এই খানেরও বেশ কিছু অদ্ভুত ধ্যানধারণা রয়েছে। আমির মনে করেন, বছরের শেষ দিকে ফিল্ম রিলিজ করলেই নাকি তা হিট হবে। এ জন্যই তার বেশির ভাগ ফিল্ম রিলিজ হয় ডিসেম্বরে।
অক্ষয় কুমার : বলিউডে নাকি প্রতি শুক্রবারই ভাগ্যবদল হয়। হিরো থেকে জিরো হয়ে যান অনেকে। অনেকের মতো অক্ষয় কুমারও জীবনে বহু টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গডফাদার না থাকলেও বলিউডে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। অক্ষয় আবার মনে করেন, ফিল্ম রিলিজের সময় বিদেশে থাকলে নাকি তা হিট হয়!
হৃত্বিক রোশন : সংস্কার মানার ক্ষেত্রে হৃত্বিক রোশনও কিছু কম যান না। বিমানে চড়ে কোথাও যাওয়ার আগে তিনি এক চামচ দই-চিনি খেয়ে নেন! আবার ইংরেজির ‘কে’ (K) অক্ষরের প্রতিও তার দুর্বলতার কথা অনেকে জানেন। হৃত্বিকের বেশিরভাগ ফিল্মের প্রথম অক্ষরও শুরু হয় ‘কে’ দিয়ে।
রনবীর কাপুর : শাহরুখ বা অমিতাভের মতোই রনবীর কাপুরও নানা সংস্কার মেনে চলেন। তার মধ্যে একেবারে উপরের তালিকায় থাকবে ‘৮’ সংখ্যাটি। ওই সংখ্যা নাকি রণবীরের জন্য লাকি।