হিসাব মেলাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী সংলাপ শেষেই নিজেদের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হিসাব কষতে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
হিসাবে ফ্রন্টের নেতারা দেখেছেন যে, নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ ৭ দফা দাবির মূল বিষয়গুলোই আওয়ামী লীগ সংবিধানের কথা বলে এড়িয়ে গিয়েছে। আর প্রাপ্তির মধ্যে রয়েছে শুধু মাত্র ঢাকাসহ সারাদেশে সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাঁধা থাকবে না, গায়েবি মামলায় তালিকা চেয়েছেন এবং আলোচনার দ্বার খোলা রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । সুতরাং সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রাপ্তি বা অর্জনের পাল্লাটা খুবই সীমিত। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঐক্যফ্রন্টের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হয়। এরপর দুই পক্ষের ৪৩ জন নেতার আলোচনার মধ্যেই চলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপ্যায়ন। আর ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রথমেই ড. কামাল হোসেন সূচনা বক্তব্য রাখেন। এরপরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন। সংলাপে আওয়ামী লীগ থেকে ৭ থেকে ৮ জন্য এবং ঐক্যফ্রন্ট থেকেও ৭ থেকে ৮ জন্য নেতা বক্তব্য রাখেন বলে সূত্রটি আরো জানায়।
এবিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্যোক্তা কামাল হোসেন বলেন, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তাদের অভিযোগ ও সরকারের ওপরে উদ্বিগ্নের কথা তুলে ধরেছেন। কথা শোনার পরে আমাদের প্রধামন্ত্রী বেশ লম্বা বক্তব্য দিলেন। তবে ওখানে আমরা বিশেষ কোন সমাধান পায়নি। তবে সভা-সমাবেশের বিষয়ে একটা ভালো কথা বলেছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংলাপে আমরা সন্তুষ্ট নই। সংলাপের ঐক্যফ্রন্টের অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব অর্জন হয় না কী?
একই বিষয়ে জেএসডির সভাপতি ও ফ্রন্টের মুখপাত্র আ স ম আবদুর রব বলেন, এক দিনে সব অর্জন হয় না। আমরা ৭ দফা দিয়েছি। মানা না মানার দায়িত্ব সরকারের। তবে আমাদের আন্দোলন চলবে।
জানতে চাইলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৭ দফা দাবি উত্থাপন করার পরে ঐক্যফ্রন্টের ৭ থেকে ৮ জন নেতা বক্তব্য দেন এবং আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল থেকে ৮ জন্য নেতা বক্তব্য রাখেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে বেশ যুক্তি-তর্ক হয়েছে।তবে কোন উত্তেজিত পরিবেশন হয়নি। সংলাপে অর্জন বা প্রাপ্তি কী- এই প্রশ্নের জবাবে রতন বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাঁধা দেবে না, গায়েবি মামলায় তালিকা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং নিরেপক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে যে দাবিগুলো ছিল, সেসব বিষয়ে তারা ইতিবাচক কথা বলেছেন। তাই প্রাপ্তির খাতা শূন্য বলা যায় না। যেহুত সভা-সমাবেশ করতে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন। তবে অর্জন খুবই সীমিত। বাংলাদেশ জার্নাল