অ্যাসিড দিয়ে গলানো হয় খাশোগির দেহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার দেহ ‘গলিয়ে’ দেয়া হয়। শুক্রবার তুরস্কের হারিয়েট পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের উপদেষ্টা ও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন কর্মকর্তা ইয়াসিন আকতায়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইয়াসিন বলেন, আমরা এখন দেখছি তার দেহ শুধু টুকরোই করা হয়নি, তার দেহ (সৌদির সন্দেহভাজনরা) গলিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পাওয়া সবশেষ তথ্যানুযায়ী, খাশোগির দেহ সহজে গলিয়ে দেবার জন্য তা টুকরো টুকরো করা হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল যাতে দেহের কোনও হদিসই না পাওয়া যায়।
খাশোগির বন্ধু ইয়াসিন বলেন, একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা একটি অপরাধ, কিন্তু তার (খাশোগি) মৃতদেহের সঙ্গে যে আচরণ এবং যা করা হয়েছে সেটি আরেকটি অপরাধ এবং অসম্মান।
খাশোগির মৃতদেহ কী করা হয়েছে ইয়াসিনের এই মন্তব্য দেশটির কর্তৃপক্ষের প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তুরস্কের তদন্তকারীরা বলছেন, খাশোগির মৃতদেহ কী করা হয়েছে তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন তারা। সৌদি কনসাল জেনারেলের বাড়ির কাছে খাশোগির মৃতদেহ অ্যাসিড দিয়ে গলানো হয়ে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তুর্কি কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, কনস্যুলেটের বাগানের ‘জৈবিক প্রমাণ’ দেখে মনে হচ্ছে অ্যাসিডের কারণে ‘খাশোগির দেহ দাফন করার প্রয়োজন পড়েনি।’
যদিও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এই অ্যাসিড তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, অ্যাসিড ব্যবহার করে একটি দেহ গলাতে কয়েক মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করে নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি। তুরস্কের দাবি করে তাকে ওইদিনই কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব প্রথমে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয়। তবে এখনও খাশোগির মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি।