পাকিস্তানে ‘ফাদার অব তালেবান’ নিহত, ইমরানের শোক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে সামিউল হক (৮১) নামে এক তালেবান নেতা নিহত হয়েছেন। তালেবান আন্দোলনের প্রধান নেপথ্য হওয়ায় তিনি ‘ফাদার অব দ্য তালেবান’ নামে পরিচিত ছিলেন। সামিউলের স্বজনদের বরাত দিয়ে এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
এদিকে তালেবান এই নেতার মৃত্যুকে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান এক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী নেতাকে হারিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীরা বাড়িতে এসে তাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সামিউলের মৃত্যুতে স্থানীয় এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়েছে তার সমর্থকরা।
সামিউলের ছেলে জানান, ঘটনার সময় তার বাবা শোবার কক্ষে একাই ছিলেন। এ সময় হত্যাকারীরা তাকে হামলা করে। আজ শনিবার আখোরা খাতক প্রদেশে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সামিউল হক পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনতোয়া প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। তালেবান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক সত্ত্বেও সামিউল হক যে মাদ্রাসা চালাতেন তা পাকিস্তানের আঞ্চলিক সরকারগুলোর কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ পেত।
তালেবান আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের শিক্ষক ছিলেন তিনি। পরে তিনি একটি দল থেকে পাকিস্তানে সিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছাত্রদের একজন ছিলেন তালেবান নেতা মোল্লা ওমর। তিনি আশির দশকে তার সহপাঠীদের নিয়ে আফগানিস্তান যান সোভিয়েত সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
পরে এই মোল্লা ওমরই তালেবান প্রতিষ্ঠা করেন। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন চলে যাওয়ার পর গৃহযুদ্ধ এবং চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতা দখল করে।