সন্তানের আশায় পরকীয়া, অতঃপর …
ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বছর আগে হোসিয়ারী ব্যবসায়ী শাহিন মিয়ার সাথে বিয়ে হয় লায়লা আক্তারের। দাম্পতি জীবনে নিঃসন্তান লায়লা। একজন সন্তানের আশায় জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায়। প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম। তিনি স্মার্ট নামে একটি গার্মেন্টে কিউসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। থাকতেন লায়লাদের বাড়ির কাছেই সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার সাইফুলের বাড়িতে। আর লায়লা ভাড়া ছিলেন খলিল মিয়ার বাড়িতে।
গত দুই বছর ধরে লায়লা তার স্বামী এবং সাইফুল তার স্ত্রী সন্তানদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া প্রেমটা চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে প্রেমের কারণে বেশ কয়েকবার তারা শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেন। লায়লার লক্ষ্য একটাই, একটি সন্তান। কিন্তু সেই সন্তানের সাধ আর পূরণ হয়নি লায়লা আক্তারের। তাকে মরতে হয়েছিলো তার পরকীয়া প্রেমিক সাইফুলের হাতে। খুন করার পূর্বে সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণও করে লায়লাকে।
ঘটনাটি ২৫ অক্টোবরের। ঘটনার পর সানারপাড়ের খলিল মিয়ার বাড়ি থেকে লায়লার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিলো তার স্বামী শাহিন মিয়াকে। অনেকের ধারণা ছিলো হয়তো শাহিন মিয়াই স্ত্রীকে হত্যা করেছিলো। কিন্তু না, লায়লাকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইফুল।
এ ঘটনাটির রহস্য ভেদ হয়ে আসে সাইফুলকে আটক করে তিন দিন রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর। সাইফুল লায়লকে ধর্ষণ এবং হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আদালত ‘ঘাতক’ সাইফুলের জবানবন্দি রেকর্ড করে।
এর আগে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সাইফুলকে রাজধানীর ডেমরা সারুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়। সাইফুল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মহিষখোচা এলাকার মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে।
আদালতে লায়লা আক্তারকে হত্যার দায় স্বীকার করে সাইফুল জানিয়েছে, ২৫ অক্টোবর লায়লা আমাকে ফোন করে ডেকে নেয়। পরে গাল মন্দ করতে থাকে। এমন কী আমার স্ত্রী ও সন্তানদের গাল মন্দ করে। এসময় লায়লাকে থামতে বলার পরও সে আরও গাল মন্দ করে। পরে আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধষর্ন করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যাই ।