নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি
২৯ অক্টোবর শনিবার ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য করানোর জন্য নেয়া হয় না। বিচার বিশ্লেষণহীনভাবে এ ধরনের ঢালাও বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার আদৌ মিল নেই। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি একটি পরীক্ষিত, স্বচ্ছ এবং ছাত্রবান্ধব প্রক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে। এটি একটি যুগোপযোগী প্রক্রিয়া, যা কিনা ক্রমাগত পরিমার্জনের মাধ্যমে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠক্রম অনুসরণ করে কয়েকটি ধাপে নিরীক্ষণ শেষে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়।
তারা বলেন, সুতরাং এই প্রশ্নপত্রের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অথবা প্রশ্নপত্রের উৎকর্ষ সাধন নিয়ে যেকোনো মহলের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ শিক্ষকসমাজ সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনোই শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা বা ফেল করানোর জন্যে ভর্তি পরীক্ষা নেয় না। মেধাবীদের মধ্য হতে সেরাদের বাছাই করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোই এর মূল উদ্দেশ্য।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির অহঙ্কার, শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কার্যক্রম সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী মহলের যেকোনো বক্তব্য অস্পষ্ট ও অমূলক হবে না, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া ও প্রশ্ন প্রণয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সচিবালয়ে গত বুধবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতিসভায় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ফুটপাত থেকে অখ্যাত লেখকদের বই কিনে তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়।