আন্তর্জাতিক ডেস্ক :স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় সেনা মোতায়েনের অংশ হিসেবে লিথুয়ানিয়ায় রুশ সীমান্তে অত্যাধুনিক লেপার্ড-২ ট্যাংক মোতায়েন করতে যাচ্ছে জার্মানি। ট্যাংকের সঙ্গে ৬০০ সেনাও মোতায়েন করা হবে। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম।
জার্মানির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, ন্যাটোর সর্বশেষ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা অনুসারে লিথুয়ানিয়াকে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা জার্মানির দায়িত্ব। বুধবার সন্ধ্যায় জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেখিয়েছে তারা বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। ওই দিনই জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বাল্টিক অঞ্চলের দেশ লিথুয়ানিয়ার রাশিয়া সীমান্তে অত্যাধুনিক লেপার্ড ২ ট্যাংক ও সঙ্গে ৬৫০ জন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোকে রক্ষার জন্য বিশদ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এসব ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পর রাশিয়া বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে আগ্রাসন চালাতে পারে বলে ন্যাটো আশঙ্কা করছে।
ন্যাটোর ১ হাজার সেনার একটি ব্যাটালিয়ন আগামী বছরের জুনের মধ্যে লিথুয়ানিয়াতে মোতায়েন করা হবে। প্রতি ছয় মাস অন্তর এসব সেনাদের পালাবদল হবে। এর মধ্যে ৪৫০ থেকে ৬৫০ সেনা পাঠাবে জার্মানি। বাকি সেনারা আসবে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া থেকে।
জার্মান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ন্যাটোর সেনা মহড়াতেও ট্যাংক ও আর্মার যান থাকবে এবং স্নাইপার ও প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন।
অবশ্য খবরে বলা হয়েছে, এসব ট্যাংক মোতায়েন প্রতীকী মাত্র। কারণ ওই অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক সামর্থ্যই শক্তিশালী।
এদিকে, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ন্যাটোভুক্ত পরাশক্তিগুলো সেসব দেশে সেনা মোতায়েন করছে। জার্মানি লিথুয়ানিয়াকে রক্ষা করবে, পোল্যান্ডকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র, লাটভিয়াকে কানাডা এবং এস্টোনিয়াকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য।
রুশ সীমান্তে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণায় উদ্বিগ্ন মস্কো পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে। জুনে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু জানান, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র ১২০০ সামরিক সরঞ্জাম এবং ১ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। জুলাই মাসে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নতুন একটি সামরিক টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। সূত্র:ডয়চে ভেলে, রাশিয়া টুডে।