বিনোদন ডেস্ক : ভূতে বিশ্বাস করি কিনা তা এভাবে বলে দেওয়া ঠিক হবে না। সত্যিকার অর্থে এটা ঠিক বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নও না। তবে নানামুখী অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। এ অভিজ্ঞতা হয়েছে শুটিং সেট থেকে। কারণ শুটিংয়ের জন্য বহু জায়গায় গিয়েছি আমি। আলাদা আলাদা জায়গায় থেকেছি। কোনো কোনো জায়গায় এমন কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে ব্যাখ্যা পাইনি। বার বার মনে হয়েছে ঘরে অন্য কোনো কিছুর উপস্থিতি রয়েছে। তবে এটা যে সবসময় খারাপ তা নয়। ইতিবাচক নেতিবাচক দুরকমই অনুভব করি।
অনেক দিন আগে একটি টেলিফিল্মের শুটিং করতে গিয়েছিলাম বর্ধমানের খন্ন্যান রাজবাড়িতে। আমি আগেই শুনেছিলাম ওই বাড়ি সম্পর্কে। ঐতিহ্যবাহী জমিদারবাড়ি। প্রকান্ড সব ঘর। বিরাট দালান। বিশাল একটা নাচ ঘরও আছে। এই যে আবহাওয়াটা, এর সঙ্গে এমনিতেই ভৌতিক যোগাযোগ যেন রয়েছে। কিন্তু অন্যের কথায় নয়। ওখানে শুটিং করতে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল। রাতে নাচ ঘরের টুংটাং ঝাড়বাতির শব্দ, প্রাসাদের মধ্যে দিয়ে হাওয়া বইছে। সব মিলে একটা গা ছমছমে ব্যাপার। প্রাসাদে কেউ বা কারা যেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা নেতিবাচক অনুভূতি।
কিন্তু গোয়ায় শুটিং করতে গিয়ে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেটা কিন্তু ইতিবাচক। স্টার হোটেলে ছিলাম। চমৎকার ঘর। সবকিছু আধুনিক। কিন্তু তার ভেতরেও যেন কেউ আনাগোনা করছিল। কারো এমন উপস্থিতি আমার অস্বস্তিকর লাগেনি। মনে হয়েছে যেই থাকুক, আমার ক্ষতি করতে চায় না। কেন মনে হয়েছিল, বলতে পারব না।
একটি সিনেমার শুটিংয়ে তাকদায় গিয়েছিলাম। সেখানে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল একটা পুরোনো ব্রিটিশ বাংলোতে। আমার ঘর ছিল দোতলায়। এই ঘরে প্রথম দিন গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তারপর শ্বাসরোধের মতো অনুভূতি হতে থাকে। যেন দমবন্ধ হয়ে আসছে। কাঁচের বিরাট জানালার কাছে গিয়ে সেটা খোলার চেষ্টা করলাম। আর তখনই মনে হলো কারো উপস্থিতি। আমি একটু ঘাবড়েই গেলাম। পরের দিন রাতে আমার হেয়ার ড্রেসারকে ঘরে থাকতে বলি। কিন্তু এক সময় তারও একই অনুভূতি হলো। দমবন্ধ করা অনুভূতি। বাকি রাত প্রায় জেগেই কাটাতে হলো। হ্যাঁ, এমনো হতে পারে যে সাব-কনশাসে পুরোনো বাড়িগুলোর ব্যাপারে একটা ভৌতিক ধারণা তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু যা যা নিজে অনুভব করলাম, সেগুলো কেমন করে অস্বীকার করব!