স্পোর্টস রিপোর্টার : দুশ্চিন্তা নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের দেওয়া ২৭৩ রানের জয়ের টার্গেটে ততক্ষণে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে প্রথম বলেই আঘাত হেনেছে বাংলাদেশ। আরো নির্দিষ্ট করে বললে মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনার বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ওপেনার বেন ডাকেটকে ৫৬ রানে বোল্ড করেছেন। জয়ের জন্য লড়ে যাওয়া স্বাগতিকরা পেয়েছে উৎসবের প্রথম উপলক্ষ্য। অ্যালিস্টার কুক তখন ৩৯ রানে। তার সাথে যোগ দিয়েছেন জো রুট।
এই ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। তৃতীয় দিনের লাঞ্চের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৯৬ রানে। এশিয়ায় এর আগে চতুর্থ ইনিংসে ২০৯ এর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই ইংলিশদের। ২০১০ সালে এই মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ওই রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১২৮ রানের লিড নিয়ে রবিবার তৃতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের। ৩ উইকেটে তখন ১৫২ রান। আর ১৪৪ রান তুলেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে। এর ১১৬ রান আসে প্রথম সেশনে। ওই সেশনে উইকেট পড়ে ৪টি। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
আগের দিন তামিম ইকবাল ৪০ ও মাহমুদ উল্লাহ ৪৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন। ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা ওপেনার ইমরুল কায়েস ইমরুল কায়েস ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৮ রানে আউট হয়েছেন সকালে। তার ১২০ বলের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি। সাকিব আল হাসান ৮১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেছেন ৪১ রান। বিশেষ উল্লেখযোগ্য আট নম্বরে ব্যাট করে শুভাগত হোমের ২৮ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস। যেখানে বাউন্ডারি ৪টি। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম রাব্বি। আগের তিন ইনিংসেই ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। শেষ উইকেট জুটিতে শুভাগতর সাথে রাব্বির ২০ রান বাংলাদেশের লিড বাড়িয়েছে। ওই জুটির তাই মূল্য দারুণ। আদিল রশিদ ৪ ও বেন স্টোকস ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মূল ক্ষতিটা করেছেন।
এদিন গোটা চারেক ক্যাচ ফেলেছে ইংল্যান্ড। সকালেই। এর দুটি ইমরুলের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সফরে তৃতীয় সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারেননি ইমরুল। সাকিবের সাথে তার ৪৮ রানের জুটি ভেঙেছেন মঈন আলি। সাকিব ব্যক্তিগত ২৩ রানে ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন। অধিনায়ক মুশফিক ইনিংসের শুরুতে কঠিন ক্যাচ দিয়েছিলেন। সাকিব ৪১ রান পর্যন্ত গেলেও মুশফিক ৯ রানে ফিরেছেন। তাদের জুটিটা ৩৮ রানের। বেন স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে অযথাই আউট হয়েছেন মুশফিক।
দলের ২৩৮ রানের সময় সাকিব ও মুশফিক আউট হলেন। এরপর সাব্বির রহমান (১৫) ও শুভাগত ৩০ রানের জুটি গড়েন। দুজনই শটের ওপর নির্ভর করে খেলছিলেন। লাঞ্চের ঠিক আগে সাব্বির বিদায় নিলেন। ফিরে ৩ রানের ব্যবধানে তাইজুল ইসলাম (৫) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২) আউট। ২৭৬ থেকে শুভাগত ও রাব্বি দলকে নিয়ে যান ২৯৬ রান পর্যন্ত। তাতে স্পিনারদের ওপর ভর করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বল করতে নামে বাংলাদেশ।