নিজস্ব প্রতিবেদক : অল্প অল্প করে বাম পা নাড়াতে পারছেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। গত ৪ অক্টোবর মাথায় অস্ত্রোপচার পর থেকেই তিনি শরীরের বাম পাশে নড়াচড়া করতে পারছিলেন না।
শনিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের নিওরো সার্জারির অ্যাসোসিয়েট কন্সালটেন্ট ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার।
ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার বলেন, ‘মানুষের ব্রেনের বাম পাশ শরীরের ডান পাশের নড়াচড়া এবং ডান পাশ শরীরের বাম পাশ নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে। খাদিজার মাথার ডান পাশে আঘাত পাওয়ায় তার বাম পাশের মুভমেন্ট নেই। তবে এখন বাম পা অল্প নড়াতে পারে। তবে কতটুকু নড়াতে পারবে, হাটতে পারবে কিনা সেটা বুঝতে আরও সময় লাগবে।’
গত বুধবার রাতে খাদিজাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে নার্গিসের বাবা মাশুক মিয়া বলেন, ‘বামপাশে হাত-পা আগে একবারে অবশ ছিল। এখন বাম পায়ে স্পর্শ করলে একটু করে নাড়ায়। তবে বাম হাতে এখনও কোন নড়াচড়া চোখে পড়েনি।’
খাদিজাকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে বলেন জানান তার বাবা মাশুক মিয়া। তিনি বলেন, ‘জেলি, পুডিং, স্যুপ খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়াও খাদিজা কথা বলতে পারছেন। তবে কখনো কখনো অসংলগ্ন কথা বলছে।’
গত ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কোপায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। প্রথমে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর খাদিজাকে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে আনা হলে ৪ অক্টোবর খাদিজার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। ১৭ অক্টোবর তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার হয়। নার্গিসের ওপর হামলাকারি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম বর্তামনে কারাগারে রয়েছেন।