আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যীশুখ্রিষ্টের কবর বলে বিশ্বাস করা হয় যে সমাধিসৌধ, সেটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। শতাব্দির মধ্যে এমন ঘটনা এই প্রথম। ওই সমাধিসৌধে প্রকৃতপক্ষেই যীশুর কবর কিনা তা আবিষ্কার করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।ইসরায়েলের জেরুজালেম নগরীর হোলি সেপুলচার গির্জার মধ্যে অবস্থিত ওই সমাধিটি অন্তত ১৫৫৫ সাল থেকে মার্বেলে আচ্ছাদিত রয়েছে।
কিন্তু ভূতাত্ত্বিকরা সেই মার্বেলের চাঁই সরিয়ে পাথরে বাধাই করা কবরটি উন্মুক্ত করেছেন। যীশুখ্রিষ্টকে কখন নিভাবে সমাধিস্থ করা হয়েছিলো তা জানতে কাজ করে যাচ্ছেন এই ভূতাত্ত্বিকরা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে।
খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী যীশুকে একটি গুহার মধ্যে লাইমস্টোনের তৈরি কবরে শায়িত করা হয়।
খৃষ্টানরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যুর পর যীশু পুনরুজ্জীবিত হন। তার মৃত্যুর পর এক নারী তাকে দেখতে গিয়ে ওই গুহা শূন্য দেখতে পান।
খৃষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী পবিত্র বিবেচিত ওই গুহাটি পুনরায় খনন করছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যাথেন্সের এক গবেষক দল। এই দল এর আগে অ্যাথেনিয়ান অ্যাক্রোপলিস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলো।
এবারে তারা যীশুর অন্তিম শয্যার পাথর পরীক্ষা করে দেখবেন। এই সমাধিটি প্রথম আবিষ্কার করেন রোমান সম্রাট কনস্টানটাইনের মা হেলেন, ৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ভূতত্ত্ববিদ ফ্রেদরিক হেইবার্ট বলেন, ‘মার্বেল আচ্ছাদিত সমাধিটি উন্মুক্ত করে আমরা চমৎকৃত হয়েছি। এর নিচে অনেক কিছু পেয়েছি আমরা। তবে প্রকৃত সত্য উদ্ধারে ব্যাপক পরিমাণ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন রয়েছে।’
জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় সকল সমাধিসৌধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নেওয়া এক প্রকল্পের অংশ হিসেবেই খনন করা হচ্ছে খ্রিষ্টের সমাধি।এর আগে নানা গোত্রে মতের অনৈক্যের কারণে কোনদিনও এই কবর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়নি।
এই গির্জাটি তৈরি করা হয়েছিলো ৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দে। এতে খৃষ্টানদের ছয়টি ভিন্নমতের গোত্রের সকলের অধিকার থাকলেও গ্রিক অর্থডক্স চার্চ, রোমান ক্যাথলিক চার্চ ও আর্মেনিয়ান চার্চের প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত যীশুর সমাধিক্ষেত্র এই গির্জাটির চাবি সংরক্ষিত ছিল এক মুসলিম পরিবারের কাছে।