আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কারচুপি হবে। তাঁর এ রকম অভিযোগের মধ্যেই জাল ভোট দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন ট্রাম্পের সমর্থক টেরি লিন রোট। তাঁর দাবি, কারচুপি হবে মনে করেই তিনি জাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন।
গতকাল শনিবার থেকেই আইওয়া অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। পল্ক কাউন্টির তালিকাভুক্ত রিপাবলিকান-সমর্থক টেরি লিন রোট ভোট জালিয়াতির জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ নিয়ে টেরি রোট প্রথম দফা কাউন্টি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন। এরপর দ্বিতীয় দফা ভোট দিতে হাজির হন কাউন্টির ভ্রাম্যমাণ একটি ভোটকেন্দ্রে। টেরিকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পাঁচ হাজার ডলারের বিনিময়ে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আগামী ৭ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
জামিন পাওয়ার পর টেরি বলেন, প্রথম দফা ভোট দিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, সেটি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে চলে যাবে। এ কারণে দ্বিতীয় দফা ভোট দিতে গেছেন, যাতে সেটি ট্রাম্পের ঘরেই যায়। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই নিজেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলে জানিয়েছেন টেরি।
টেরির ভোট জালিয়াতির খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিনেই তাঁকে ভোট দিতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কলোরাডোয় দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, আগাম ব্যালট পেপার নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ আছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্বাচনে কারচুপি হবে বলে মাঠ গরম করেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মার্কিন তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক জেমস কমি জানান, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের আরও গোপন ই-মেইলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এরপর ট্রাম্প সুর নরম করেছেন। গতকাল রাতে তিনি বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে, আগে যতটা মনে করেছিলাম, নির্বাচন ততটা জালিয়াতিপূর্ণ হবে না।’