নিউজ ডেস্ক : ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের সরকার দেশের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরো সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিবস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে আজ বুধবার দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীকৃষ্ণ আজীবন শান্তি, মানবপ্রেম ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন। তিনি তাঁর জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে সত্য ও সুন্দরের আরাধনা করেছেন। মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা আশা করেন, এই জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণকে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে আরো অনুপ্রাণিত করবে। বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।
এদিকে খালেদা জিয়া শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবার সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।
আগামীকাল (আজ) বৃহস্পতিবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী। এ উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ বুধবার এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, যে কোনো ধর্মীয় উৎসব সম্প্রদায়ের ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মিলনের বাণী শোনায়। মানবসমাজের মধ্যে এক অনন্য ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত করে। আনন্দরূপ বিনম্রতায় সমাজে সবাইকে এক গভীর শুভেচ্ছাবোধে আপ্লুত করে।
‘সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এমনি একসময়ে যখন সমাজে অত্যাচারী রাজার নিষ্ঠুর অত্যাচার ও দুঃশাসন কায়েম ছিল। তিনি সেই অন্যায়কে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এখানে সব ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সম-অধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে যার যার অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে।’