আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সন্ত্রাসী হামলা, শ্রমিক ধর্মঘট ও বন্যার কারণে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পর্যটন খাতে ধস নেমেছে।এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ২০১৫ সালের একই সময়ের তুলনায় কয়েক লাখ পর্যটক কমেছে।
প্রতিবছর ১ কোটি ৬০ লাখ পর্যটককে স্বাগত জানায় প্যারিস। বিশ্বের শীর্ষ পযর্টন গন্তব্যের মধ্যে প্যারিস একটি।
পর্যটক কমে যাওয়ায় মোটা অঙ্কের রাজস্ব হাত ছাড়া হচ্ছে ফ্রান্সের। এ খাতে রাজস্ব কমেছে প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিষয়টিকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল দুর্যোগ’ হিসেবে উল্লে করেছেন।
ফ্রান্সের অর্থনীতি দারুণভাবে পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। বছরে জিডিপির ৭ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। প্যারিসের পর্যটন এলাকায় এ খাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
গত বছর নভেম্বর মাসে প্যারিসে তথাকথিত জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর থেকে বিদেশি পর্যটক আসা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে প্যারিসের শার্লি হেবদো পত্রিকা অফিসে হামলার পর পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়, তার ধকল কাটিয়ে প্যারিসের পর্যটন ইন্ডাস্ট্রি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু নভেম্বর মাসে আইএসের হামলায় তা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। মূলত এর পর থেকেই পর্যটন খাতে ধস নামে।
হোটেলে রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটক কমেছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং দেশীয় পর্যটক কমেছে ৪ দশমিক ৮ শতাং। দেশি-বিদেশি মিলে এ সংখ্যা কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপস প্যারিসে হওয়ার পরও এ হ্রাস কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।
প্যারিসের পর্যটন কর্মকর্তা ভালেরি পেসরেস জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই মূলত পর্যটক আসা কমে গেছে। তবে এর জন্য কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে প্যারিসের বন্যাকে বিবেচনায় নিয়েছেন। তা ছাড়া শ্রমিক ধর্মঘটের কারণেও প্যারিসে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। প্রধানত এ তিন কারণে প্যারিসে পর্যটক আসা কমে গেছে।