নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ভবদহ জলাবদ্ধ অঞ্চলে গত ১০ দিনে সাপের কামড়ে ১২ জন এবং পানিতে ডুবে চার শিশু মারা গেছে।এর মধ্যে জেলার মনিরামপুর উপজেলার জলাবদ্ধ এলাকায় সাপের কামড়ে আটজন মারা গেছে। একউ উপজেলায় পানিতে ডুবে চার শিশু মারা গেছে।
মণিরামপুর উপজেলায় সাপের কামড়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার হেলাঞ্চি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়া, রতনদিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ খানে মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মুসলিমা, খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের মইন উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন, পারখাজুরা গ্রামের মোতালেব সরদারের ছেলে আনোয়ারুল, হরিদাসকাটি গ্রামের সুরেন হালদারের মেয়ে মুক্তিপদ হালদার, পাতন গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগম এবং মাছনা গ্রামের মোস্তাকের ছেলে আবু জাফর।
এদিকে মনিরামপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে কুলটিয়া গ্রামের সবুজ বিশ্বাসের ছেলে জিম, নোয়ালি চাকলা গ্রামের কামালের ছেলে হাবিবুল্লাহ, আমঝুটা গ্রামের সাত্তারের ছেলে সবুজ হোসেন ও বাজিতপুর গ্রামের মহানন্দরে ছেলে তন্ময় মারা গেছে।
এদিকে জেলার অভয়নগর উপজেলায় সাপের কামড়ে দুইজনের মৃত্যুও খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- উপজেলার হরিদাসকাঠি গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তিপদ হালদার ও বাহিরঘাট গ্রামের ফজলে সরদার।
এ ছাড়া জেলার ঝিকরগাছা ও কেশবপুর উপজেলায় সাপের কামড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে যশোরের মনিরমাপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাকে ‘দুর্গত’ এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য।
বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই দফা বর্ষণে মনিরামপুর উপজেলার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ডুবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ। ৪০ হাজার ঘরবাড়িসহ হাজার হাজার পুকুর, ঘের ভেসে গেছে।