‘তোর মামাবাড়ি কোথায়?’
– ‘পৃথিবী৷ তোর?’
– ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’
উপরের সংলাপগুলো একটুও কাল্পনিক নয়৷ অন্ততঃ বিজ্ঞানীরা তাই বলছেন৷ খোঁজ শুরু হয়ে গেছে৷ প্রাণের অস্তিত্বের জন্য শুধুমাত্রই থাকার জায়গা লাগবে তা নয়, জরুরি আরও অনেক কিছু৷ দশকের পর দশক ধরে ভাবা হয়েছিল সূর্য থেকে দূরত্ব হিসাব করেই প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব কি না, তা নির্ধারণ সম্ভব৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিষয়টা তা নয়৷ সৌরজগতের ক্ষেত্রে শুক্র গ্রহ সূর্যের বেশ কাছে অবস্থিত, মঙ্গল গ্রহ আবার অনেকটা দূরে৷ কিন্তু পৃথিবীর অবস্থান একেবারে ‘সঠিক’ জায়গায়৷ এই দূরত্বটাকেই বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘বসবাসযোগ্য এলাকা’ বা ‘গোল্ডিলকস এলাকা’৷
আমেরিকার ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, একটি গ্রহ অত্যন্ত শীতল কিংবা অত্যন্ত উত্তপ্ত তার উপর কিছুই নির্ভর করে না৷ শুধুমাত্র সূর্যের থেকে দূরত্বই একটি বসবাসযোগ্য গ্রহ হয়ে ওঠার প্রধান শর্ত হতে পারে না৷ একইসঙ্গে গ্রহটির নিজস্ব আবরণের তাপমাত্রার উপর তার স্ব-নিয়ন্ত্রণ থাকাও একইরকম জরুরি৷ অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে যে কোনও গ্রহের মাটির তলায় অবস্থিত পাথরগুলোর অবস্থানের বদল ঘটে৷ বদল ঘটে তাপমাত্রার৷ এই তাপমাত্রার বদলের পিছনেও গ্রহগুলির স্ব-নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷ গ্রহের আবরণের সংকোচন প্রসারণের উপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু৷ একটি গ্রহ শুধুমাত্র অতি তপ্ত কিংবা শীতল হতে পারে, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা সঠিক তাপমাত্রা সম্বলিত হয়ে বসবাসযোগ্য গ্রহের আকার নেয়৷ ইয়ালের ভূ-তত্ত্ব ও ভূ-পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক জুন কোরেনাগা বলেন, ‘পৃথিবী কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সমস্ত তথ্যই একত্রিত করা হয়েছে৷
কয়েক কোটি বছর আগে বিশ্বের সৃষ্টিরহস্যের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সংখ্যাতত্ত্ব সংক্রান্ত হিসাব রয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে৷ তথ্য বলছে, ‘ম্যান্টল কনভেকশন’ সবচেয়ে জরুরি বিষয়৷ অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ও গ্রহের আবরণের তাপমাত্রা এই দুটির পারস্পরিক সম্পর্কের উপর বিষয়টা যে শুধু নির্ভর করে তা নয়৷ আবরণের তাপমাত্রার স্ব-নিয়ন্ত্রণ আরও অনেক বেশি জরুরি৷ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন