নিজস্ব প্রতিবেদক: জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া মইনুল হাসান শামীম। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান আজ বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন।
দীপন হত্যার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টঙ্গী থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ সকালে পুলিশ জানায়। তাঁর সম্পর্কে তথ্য দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ডিএমপি।
লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, ভিন্নমতাবলম্বীসহ অন্তত ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত মে মাসে পুলিশ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গির ছবি প্রকাশ ও পুরস্কার ঘোষণা করে। ওই ছয়জনের মধ্যে শামীম ছিলেন।
ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি-দক্ষিণ) একটি দল শামীমকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম স্বীকার করেছেন, দীপন হত্যায় জড়িত ছিলেন তিনি। এই হত্যায় জড়িত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের সার্বিক প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, শামীমের কয়েকটি সাংগঠনিক নাম আছে। তিনি সিফাত, সামির, ইমরান—এসব নামেও পরিচিত। সাভারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন তিনি।
পুলিশের ভাষ্য, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার চারজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির মধ্যে শামীম একজন। বোমা তৈরির বিষয়ে তাঁর প্রশিক্ষণ আছে।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতির কার্যালয়ের ভেতরে দীপনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।প্র/আ