শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্ত্তী শ্যামল,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে: ডিজিটাল যুগেও বাঁশের সাকো দিয়েই পার হতে হচ্ছে ফতেপুর, নবীপুর লাপাং, দরিলাপাং, চিত্রি, ইসলামপুর ও নরসিংহপুরসহ নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে। যা মাত্র একটি সেতুর অভাবে গ্রামগুলোকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেক দূর। অন্ত নেই দূর্ভোগের । ভোট এলে বুধন্তী নদীর ওপর সেতু করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সবাই।সংসদনির্বাচন,ইউপি নির্বাচন- প্রতিশ্রুতি মিলে সবসময়ই। কিন্তু সেতু আর হয়না। এমনি অবস্থায় গ্রামবাসী নিজেরাই উদ্যোগ নেন। নির্মান করেন বুধন্তী নদীর উপর ৩০০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো। আর এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন পাড় হতে হয় ফতেপুর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে। ১৫ বছর ধরে প্রতি বছরই নির্মান করতে হয় সেতুটি।কারণ বাঁশ দিয়ে তৈরী সাকো প্রতিবছরই নষ্ট হয়ে যায়।
জানা গেছে, নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম সীমানা শেষে ফতেপুর, নবীপুর লাপাং, দরিলাপাং, চিত্রি ও ইসলামপুর নরসিংহপুর সহ কয়েকটি গ্রামের সীমানা শুরু।। কিন্তু মেঘনা নদীর একটি শাখা বুধন্তী নদী,নদী বলতে এখন ছোট খাল বলা যায়। আর এর উপর একটি সেতুর অভাবে গ্রামগুলোকে অনেক দূরের করে দিয়েছে নবীনগর থেকে। বর্ষায়তো বটেই সারা বছরই এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে নৌকা করেই পেরুতে হতো এ পথ। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত, ব্যবসা বানিজ্যের জন্য নবীনগর সদর সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে তাদের দূর্ভোগের অন্ত ছিলনা। অবশ্য প্রথমত বোড়া, এরপর নৌকা, পড়ে কয়েকটি বাঁশ দিয়ে সাকো । পুণ্যভমি বলে খ্যাত ফতেপুরে ওয়ালী শাহ্ এর মাজার থাকার কারনে প্রতি বছর ওরছে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে।
শেষ পর্যন্ত গ্রামের লোকজন নিজেদের অর্থেই গত ১৫ বছর ধরে প্রতি বছর দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনশত ফুট লম্বা এই সাকোটি নির্মান করেন । দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা করে ভোগান্তির সাময়িক অবসান করেছেন গ্রামের মানুষ । নবীনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোরশেদুল ইসলাম লিটন বলেন – সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল ভাই উন্নয়নের রাজনীতি করে । তিনি ফতেপুরে ১৫ আগষ্ট আলোচনা সভায় পশ্চিম ইউনিয়নের উন্নয়নের কথা বলেছেন অতএব ওয়ালী শাহ্ নামে এই ব্রিজটিও অচিরেই নির্মাণ করে দেবেন। ফতেপুরের সাবেক মেম্বার মোহন মিয়া বলেন আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নী। এলাকাবাসীর কষ্ট আর ভোগান্তির অন্ত নেই। স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও পায়নী একটি ব্রিজ। অতচ ছোট একটি খাল পেরুলেই পৌর সদর ,সরকার আসে সরকার যাই বাঁশের সাকোর আর পরিবর্তন হয়না । আমার জীবন দশায় হয়ত আর দেখতে পারব না এই ব্রিজ । তবে শুনেছি এমপি সাহেব নাকি এই ব্রিজটি করে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন ।