বিস্ময়কর বালিকা, ৮ বছর বয়সে মাধ্যমিকের বই পড়া শেষ!
বসয় মাত্র ১২ বছর। এরই মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে সাইফা খাতুন। ৮ বছর বয়সে মাধ্যমিকের বই শেষ করে ফেলেছে এই কিশোরী। সেটাও আবার বাড়িতে বসে।বাড়িতে পড়াশুনা করেই ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিবে সাইফা। মজার বিষয় হল কখনও স্কুলের বারান্দা যাওয়া হয়নি তার। এমন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) ভারতের হাওড়ার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সাইফা কখনও প্রথাগত স্কুলে পড়েনি। হাওড়ার সালকিয়ার এএস হাইস্কুলের বহিরাগত ছাত্রী হিসেবে ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে।
এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার আমতা নামক স্থানের অধিবাসী সাইফা খাতুন এখন সবার চোখে বিস্ময় বালিকা।আর এই বিস্ময় বালিকা সবাইকে বিস্ময়টা আরও বাড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, শুধু পাসই নয়, তার লক্ষ্য প্রথম হওয়া।স্কুলে না যাওয়া বিষয়ে কোন আফসোস নেই জানিয়ে সাইফার কবিগুরু রবিঠাকুরের উদাহরণ দেয়।
সে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানায়, রবীন্দ্রনাথ, আশাপূর্ণা দেবী, কেউই স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করেননি। তাই বলে কি তারা অজ্ঞ ছিলেন?সাইফার এই বিস্ময়ের কথা জানিয়ে তার বাবা শেখ মোহাম্মদ আইনুল জানান, তিন বছর বয়সেই বড়দের কবিতা মুখস্থ বলতে পারত তার মেয়ে। সেই বয়স থেকেই ইংরেজি ও বাংলা সংবাদপত্র দ্রুত পড়ে ফেলত সে। আর এভাবেই পাঁচ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণির পাঠ শেষ করে ফেলেছিল সাইফা।
তবে মেয়েকে কেন স্কুলে দেন নি এ বিষয়ে তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করাতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, দশ বছরের বেশি বয়স না হলে ভর্তি করানো যাবে না।যে কারণে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। পরবর্তীতে সাইফার মা সাহানারা বেগম মেয়েকে ঘরেই পড়াতে শুরু করেন।