খসড়া চূড়ান্ত, আগামী বছর থেকেই বেসরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন
বর্তমানে সরকারির পাশাপাশি করপোরেট কিছু প্রতিষ্ঠানও পেনশন দিয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সম্প্রতি বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পেনশনের একটি রূপরেখা প্রণয়নের কথা জানায় সরকার। সে লক্ষ্যে ‘কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ড’ গঠনের মাধ্যমে আগামী বছর থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, ‘কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ডে’ বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীরা তাদের বেতনের একটি অংশ জমা রাখবেন। একই ফান্ডে চাকরিজীবীদের নিয়োগ কর্তৃপক্ষেরও অংশগ্রহণও থাকবে। এ জন্য গঠন করা হবে একটি সার্বজনীন ‘পেনশন কর্তৃপক্ষ’।
অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ‘কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ড’ গঠনে একটি খসড়া প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ খসড়া প্রণয়ন হলে তা অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এরপরই এ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর থেকে সীমিত পর্যায়ে হলেও বেসরকারি খাতের পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
‘কন্ট্রিবিউটারি পেনশন ফান্ড’-এর ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ফান্ডে বেসরকারিখাতে কর্মরত একজন চাকরিজীবী তার বেতনের একটি অংশ পেনশন কন্টিবিউটারি ফান্ডে রাখবে। ফান্ডে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীদের নিয়োগকারি প্রতিষ্ঠানও অবদান রাখবেন। এই ফান্ডটির পুরোটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে সরকারের হাতে। এখানে সরকারি চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত পেনশন অর্থও জমা থাকবে। সরকারি-বেসকারি কর্মকতা-কর্মচারিদের জন্য এটি একটি ‘সার্বজনীন ফান্ড’ হবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট চাকরীজীবীরা এই ফান্ডে একটি ‘কোড’ নাম্বারের বিপরীতে অর্থ জমা রাখবেন। তারা চাকরি পরিবর্তন করলেও কোড নাম্বারের কোনো পরিবর্তন হবে না। অবসর নেওয়ার পর রূপরেখা অনুযায়ী এই কোডের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পেনশন পাবেন।
এই ফান্ডের টাকা সরকার বিভিন্ন লাভজনকখাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা করবে এবং এই মুনাফার অর্থ ফান্ডে অংশ নেয়া চাকরিজীবীরাও পাবেন। তবে কাউকে বাধ্য করা হবে না এই ফান্ডে অংশগ্রহণের জন্য। বেসরকারি উদ্যোক্তারা এ জন্য কোনো কর রেয়াত পাবেন কি না-এ প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের কর্মকতা-‘না’ সূচক জবাব দেন।