আর কাঁদবো না মা
বিনোদন ডেস্ক: একদিন আগে আমেরিকার নিউইয়র্কে ফিরে গেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। এ সময় তার সঙ্গে ছিল দুই মেয়ে। নিউইয়র্কে ফিরে যাওয়ার আগে স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম শ্রাবন্তী কিংবা দুই মেয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।
ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শ্রাবন্তী লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। সুন্দরভাবে পৌঁছলাম। এখানে ভালোই ঠাণ্ডা। আমার দুই মেয়ে মহা খুশি। ওদের স্কুল শুরু হবে, তারা স্কুলে যাবে। নতুন জীবন ও নতুন দুনিয়া। সবাই সময় পেলে আমার দুই মেয়ে ও আমার জন্য দোয়া করবেন। যাতে আর কোনো ঝড় আমাদের তিনজনকে ভেঙে মুচড়ে দিতে না পারে।’
‘বয়সতো কম হলো না। এখন আমি মা হিসেবে বাচ্চার দু’টির জীবন শেষ করতে পারি না। বাবাকে কাছে পেতে অনেক কষ্ট করছে ওরা। অনেক কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু ওরা নিজেরাই এখন ক্লান্ত। এতো ছোট ছোট দুইটি বাচ্চার বিবেক আর বুদ্ধির কাছে আমি হেরে গেছি। ওদের মন খারাপ হয় কিন্তু বুঝতে দেয় না। উল্টো আমাকে বলছে শক্ত হতে।
বড় মেয়েকে নিয়ে শ্রাবন্তী লেখেন, ‘আমার রাবিয়াহ আমাকে বলে, এমন বাবার জন্য আমরাও কাঁদবো না, তুমিও কাঁদবে না মা। আর কি কিছু বলার আছে? আমার মাও অসুস্থ। আল্লাহ আমার মাকে ভালো রাখুন এই দোয়া করি।’
সবশেষে শ্রাবন্তীর কথা, ‘কৃতজ্ঞ আমি অনেকের কাছে। তাদের নাম বলে শেষ করতে পারবো না। আলহামদুলিল্লাহ্, যে মানুষগুলো আমাকে এতো ভালোবাসেন তাদের সুস্থতা কামনা করি। সবাই ভালো থাকুন, দোয়া করবেন। দেখা হবে আবার দেশের মাটিতে।’
দেশে ফিরে গত ২৬ জুন থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আর যৌতুকের মামলা করেন শ্রাবন্তী। এরপর গত ২২ জুলাই তালাকের নোটিশকে অবৈধ দাবি করে ঢাকার পারিবারিক আদালতে ‘দাম্পত্য স্বত্ব পুনরুদ্ধার’ মামলা করেন শ্রাবন্তী। তবে খোরশেদ আলম এখনো নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন বলা জানা যায়।
জানা যায়, ‘রং নাম্বার’ খ্যাত এই অভিনেত্রী শ্রাবন্তীকে মোহাম্মদ খোরশেদ আলম যে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন, ঢাকার পারিবারিক আদালতের বিচারক দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ইশরাত জাহান তার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদি শ্রাবন্তীর সঙ্গে আর সংসার করতে না চান, তা হলে তার স্বামীকে আবার নতুন করে আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে তালাকের নোটিশ পাঠাতে হবে।