ভিক্ষুকদের জন্য তিন কোটি টাকা!
ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠির পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় দেশের ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। ইতোমধ্যে উক্ত অর্থ ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ৫৮টি জেলায় জেলা প্রশাসক ও উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত ব্যাংক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ তথ্য জানান।মন্ত্রী আরো জানান, ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের জন্য বিমান বন্দর এলাকা, হোটেল রেডিসান, দূতাবাস এলাকা, হোটেল সোনারগাঁ, হোটেল রুপসী বাংলা, বেইলী রোড এলাকায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
আব্দুস সালাম মূর্শেদীর প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন জানান, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় ৬টি, তেরখাদা উপজেলায় ৭টি ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৬টি বেসরকারী এতিমখানায় সরকারী অনুদান দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, বর্তমান অর্থবছরে জেলা সমাজ সেবা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সারাদেশে শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) সংখ্যা ৬টি। আশ্রমগুলো ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, খুলনা বিভাগের বাগেরহাট এবং চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। বৃদ্ধাশ্রমগুলোর প্রতিটিতে ৫০ জন করে সর্বমোট ৩০০ জন প্রবীণ থাকার ব্যবস্থা আছে। তিনি আরো জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সারাদেশে ৮৫টি শিশু পরিবারে প্রতিটিতে ১০ জন করে প্রবীণ থাকার ব্যবস্থা রায়েছে।