যত দূর তুমি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে পারো তত দূর পর্যন্ত সবাইকে জান্নাতে নিয়ে নিবো
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) একদিন হযরত ওমর (রাঃ) কে বললেন ওমর তোমার সময় হজ্বে একজন বান্দা আসবে তার নাম হবে ওয়ায়েস, তার বংশ হবে কারন্, গোত্র হবে মুরাদ রং হবে কালো এবং তার শরীলে একটা সাদা চিন্হ থাকবে। যখন সে আসবে তার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়ে নিও, আলী তুমিও, ওমর তুমিও নিও এবং তবে এটাও জেনে রাখ ওয়ায়েস এর মতো মানুষ দ্বারা পৃথিবী ভরে গেলেও ওমর এবং আলীর একটা চুলের সমান যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে একটা বার্তা সবাইকে জানানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
হযরত ওমর এবং হযরত আলী অবাক হয়ে বলতে লাগলেন যে আমাদের বলা হচ্ছে যে ওয়ায়েস এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়ে নিতে হবে! অথচ আমরা সাহাবী আর ওয়ায়েস তাবেইই। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বললেন ওয়ায়েস তার মার এমনই খেদমত করছে যে, সে আল্লাহর দরবারে হাতে উঠালে আল্লাহ তার দোয়া কবুল না করে পারেন না/অবশ্যই কবূল করেন। এই বার্তাটা পৌছানোই মূল বিষয় ছিল যে, মা-বাবার সামনে মাথা নত কর, তাদের সেবা কর।
আর একটি বর্ণনায় বলা আছে, আল্লাহ সব জান্নাতীকে জান্নাতে পাঠালেন কিন্তু ওয়ায়েসকে জান্নাতের দরজায় দার করিয়ে রাখলেন। ওয়ায়েস আল্লাহ তাআলাকে জিগ্যেস করলেন, হে আল্লাহ সবাই জান্নাতে গেল, কিন্তু আমি যেতে পারলাম না, আমার কি হবে? তখন আল্লাহ বললেন তোমার সামনে যত জাহান্নামী দেখতেছো তাদের জন্য সুপারিশ করো, যত দূর তুমি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে পারো তত দূর পর্যন্ত সবাইকে জান্নাতে নিয়ে নিবো।
মূল কথাঃ
নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতই সব কিছু না, মাতা-পিতার সেবাই একটি অন্যতম প্রধান ইবাদাত।