দেশের প্রতিটি জেলায় সিনেপ্লেক্স চাইলেন শাকিব খান
বিনোদন ডেস্ক : ‘বাংলাদেশের প্রতি বিভাগীয় শহর এবং প্রতিটি জেলায় সিনেপ্লেক্স করা হোক। দেখবেন আমাদের চলচ্চিত্রের ব্যবসা আরও ভালো হবে। ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। ভালো সিনেমা নির্মিত হলে আরও বেশি দর্শকরা হলে ছবি দেখতে যাবেন। আমাদের এখানে হলগুলোর পরিবেশ তো তেমন উন্নত না। তাই প্রতিটি জেলায় ও বিভাগীয় শহরে যদি সিনেপ্লেক্স নির্মিত হয় তাহলে আমাদের ব্যবসা আরও চাঙ্গা হবে।’ বলছিলেন ঢাকাই ছবির নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খান।
সোমবার স্টার সিনেপ্লেক্সের ১৪ তম বর্ষপূর্তি পালন করলো। যাতে দেশের ১৪টি ব্যবসা সফল ছবিকে পুরস্কৃত করেন স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। এ আয়োজনেই বক্তব্য দিতে গিয়ে দেশব্যাপী সিনেপ্লেক্স স্থাপনের দাবী জানালেন শাকিব খান। এ আয়োজনে সেরা ব্যবসাফল ছবির মধ্যে শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারি’ ছবিকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ সময় শাকিব খান আরও বলেন, ‘‘আমার প্রথম যৌথ প্রযোজনার ছবি হচ্ছে ’শিকারি’। এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি ছবি। ছবিটি দর্শকরা দারুন গ্রহণ করেছেন। এই জন্য দর্শকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।এই সিনেমা দিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি শিল্পী কোনো দেশ নেই, গণ্ডি নেই। শিল্পীর জন্য পুরো পৃথিবী উন্মুক্ত। শিকারি’তে কাজের সময় চেষ্টা করেছি, আমার দেশের সম্মান রক্ষার জন্য। শুধু তাই নয়, যখনই দেশের বাইরে কাজ করি সবসময় দেশ ও ইন্ডাস্ট্রির সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’’
শাকিব খান ছাড়াও ‘শিকারি’ ছবির বাংলাদেশেরে প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ ও অমিত হাসান মঞ্চে পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার প্রদান করেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর পাঠান ফারুক।
বক্তব্যে শাকিব খান স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষেল দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘স্টার সিনেপ্রেক্স কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। আশা করি আপনারা আগামীতে আপনাদের সিনেপ্লেক্স প্রতিটি জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিবেন।’
২০১৬ সালে ঈদে মুক্তি পায় ‘শিকারি’। ছবিটি তুমুল আলোচিত ও ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পায়। প্রথম ছবি দিয়েই কলকাতার দর্শকদের কাছে পরিচিত পান ঢাকাই ছবির নায়ক শাকিব খান।
অনুষ্ঠানে শাকিব খানের শিকারি ছবি ছাড়াও বিগত ১৪ বছরে দর্শক প্রিয়তা পাওয়া ‘মোল্লা বাড়ির বৌ’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘মনপুরা’,‘ থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নম্বর’, ‘গেরিলা’, ‘চোরাবালি’, ‘প্রজাপতি’, ‘জিরো ডিগ্রী’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ’আয়নাবাজি’ ও ’ভুবন মাঝি’কে পুরস্কৃত করা হয়।