নিজেকে ‘ক্রিকেটের ডন’ বলে বিপাকে শোয়েব
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের জন্য সব সময় ছিলেন ত্রাস। পাকিস্তানি এই গতি তারকার বল খেলতে হিমশিম খেয়েছেন অনেক পোক্ত ব্যাটসম্যানরাও।
২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করেছিলেন শোয়েব। ১৫ বছর আগের করা বলটি আজও ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে সেটাই দ্রুততম ডেলিভারি হিসেবে সেটিই রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক আগেই। তবে এখনও ক্রিকেট নিয়েই কাজ করছেন এই কিংবদন্তি। কখনও ধারাভাষ্যকার কখনও আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে নিযুক্ত ছিলেন। গেল মাসেই পিসিবির উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে ৪৩ বছর বয়সী এই তারকাকে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি তাকে এই পদে এনেছিলেন।
সম্প্রতি শোয়েব টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে নিজের বলে নাস্তানাবুদ হওয়া একাধিক ব্যাটসম্যানের ছবিও রয়েছে। নিজেকে ‘ক্রিকেটের ডন’ বলায় ভারতের টুইটার ব্যবহারকারীদের হাতে উল্টো ট্রলের শিকার হতে হয়ে পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটারকে।
টুইট পোস্টে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত এই তারকা লিখেন, ‘আমাকে সবাই ডন অফ ক্রিকেট বলেই ডাকত। কিন্তু কখনই কাউকে আঘাত করাটা উপভোগ করিনি। দেশ ও বিশ্বের মানুষের প্রতি ভালবাসা থেকেই আমি দৌড়েছি।’
পোস্টে পর শোয়েবকে মনে করিয়ে দেয়া হয়, ২০০৩ বিশ্বকাপের ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকায় শচীন টেন্ডুলকার এক বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাস্টার ব্লাস্টারের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৫ বলে ৯৮ রানের এক ইনিংস।
সেসময়কার বিশ্বের সেরা তিন বোলার ছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস ও শোয়েব আখতার। ওই ম্যাচে শচীনের হাত থেকে রেহাই পাননি কেউই।
শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। সেঞ্চুরিয়নে শচীনের ওই ইনিংসের ভিডিও আখতারের পোস্টে রিটুইট হতে থাকে।