আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বেশি দূরে না ঢাকা থেকে মাত্র ১০৫ কি.মি.
ট্রেনে দুই ঘন্টা আর বাসে দুই ঘন্টা ৩০ মিনিট.
একটু এসে দেখে যান আমাদের সাজানো গোছানো পরিপাটি শহরটাকে
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া !চিনতে কষ্ট হচ্ছে ? আপনি কি বাংলাদেশেই থাকেন ? আপনি জানেন কি!
আমাদের ব্রাহ্মলণবাড়িয়া জেলায় একটি স্থল বন্দর, একটি নৌ-বন্দর এবং একটি রেল-জংশন আছে। বাংলাদেশর আর কোন জেলায় আছে এই তিনটা এক সাথে ?
বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কি জানেন ? প্রাকৃতিক গ্যাস,
হ্যা,তিতাস গ্যাসের নাম শুনেছেন নিশ্চয় ?
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে।
সেইটা আমার জেলায় উৎপাদিত গ্যাস।
পুরো ঢাকার গ্যাস সহ সারা দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করা হয় আমার জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে। আচ্ছা ঢাকা তো বাংলাদেশের রাজধানী তাই না ? আপনি কি জানেন !
কিছু বুঝলেন ! আরো আছে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আমার জেলাতেই।
দেশের ইউরিয়া সারের বৃহত্তম শিল্প কারখানা আমার জেলাতেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈজ্ঞানিক উপায়ে মাটির স্পর্শ ছাড়াই মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটেছে।
নাসার মহাকাশ গবেষক, ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন।
এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে,
যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে
এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছেন তিনি হলেন আব্দুস সাত্তার খান।
সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সর্বত্র পরিচিত।
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম পুতুল নাচের প্রচলন করে আমার জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আমাদের গুনীজনদের কথা একটু শুনুন.. উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন হযরত মাওলালা তাজুল ইসলাম ফখরে বাঙ্গাল (রহ)।
প্রথম বাঙালী মুসলমান ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার আবদুর রসুল।
পাকিস্তান পিওডে নামকরা দুইজন আলেম মাওঃআঃআউয়ালদেওবন্দী মাওঃআঃহামিদ দেওবন্দী। মুফতী ফজলুল হক আমিনী।
জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুছ মাখন,অর্থনীতিবিদ ড. আলী আকবর খান,নবীনগর। মাননীয় আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধোরী।পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপনকারী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, ভাষা সৈনিক অলি আহাদ,
ভাষা সৈনিক শেখ আবু হামেদ, বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলার শিকড়সন্ধানী কোন পরিচয়ে পরিচিত হবে ?
ইতিহাসবিদ, প্রত্নতাত্ত্বিক,অনুবাদক,পুঁথিসাহিত্যের গবেষক, সাহিত্যিক,
ক্রীড়া সংগঠক, প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গর্ব আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ্, পি আই বি মহা পরিচালক শাহ আলমগীর,সাংবাদিকতায় শফিক রেহমান, তুষার আব্দুল্লাহ, সাবেক মন্রী পরিষদ সচিব, রাষ্ট্রদূত, ও সমাজ সেবক জনাব মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সাহেব,নবীনগর।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী এ বি এম তাজুল ইসলাম। M.A.KHALEK PSC ADDITIONAL IG OF BANGALDESH POLICE মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। নবীনগর।নবীনগরের চার চার বারের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, আলহাজ্ব কাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন। ডেইলি অবজারভার পত্রীকার কলামিষ্ট আনিসুর রহমান, রেলওয়ে উপসচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক গভনর্র নাজিম উদ্দন নবীনগর।
সুপ্রিম কোটের সাবেক আয়কর আইনজীবি ও বাংলাদেশ ট্যাকসেস বার এসোসিয়শেন সভাপতি ও প্রাণী জগতের ঔষুধের জন্য বিখ্যাত টেকনো ড্রাগস কোং সাবেক সংসদ সদস্য এড.শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন,নবীনগর। শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান,বীর বীক্রম আ:মতিন। বাংলাদেশে ৫ জন বীর উওম এর মাঝে এক জন তিনি হলেন বীর উওম হাবিবুর রহমান।সাবেক ত্রান ও পূণবাসন মন্ত্রী এডঃহারুন আল রশিদ, আব্দুল ছাত্তার ভূইয়া ভূমি প্রতিমন্ত্রী। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। সহ আরো অনেক খ্যাতিমানদের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে।
কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক।বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কবি মির্জা শাহজাহান আবদালী। কথা সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্ল বর্মণ।
উপমহাদেশর প্রখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, বিশ্ববিখ্যাত শাস্ত্রীয়
সঙ্গীত শিল্পী, ১৯৭১ এর ১ আগস্ট নিউইর্য়কের ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর অন্যতম আয়োজক, মলয়া সংগীতের জনক মনমোহন দত্ত , সাধক পুরুষ ও সঙ্গিতজ্ঞ ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ, কবি আবদুল কাদির,
বাংলাদেশের সঙ্গীতের জাদুকর বলে অভিহিত করা হয় সুরকার শেখ সাদী খান,
পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী সঙ্গীত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী,
এছাড়াও সুবল দাস, বাহাদুর খান, কিরীট খান, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মোরশেদুল ইসলাম, অমিতাভ রেজা, সাগর জাহান, গোলাম সোহরাব দোদুল এমনকি নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের, অভিনেতা আলমগীর,ইরেশ যাকের, অভিনেতা জাকিয়া বারি মম, সাজু খাদেম, বাংলাদেশের -কিংবদন্তী অভিনয় শিল্পী, যিনি মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রতে অভিনয় করেন। ১৬০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর।,কন্ঠ শিল্পী আরেফিন রুমি,
আখি আলমগীর সহ আরো অনেকেই আছেন যারা নিজ মহিমায় পুরু বিশ্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তুলে ধরেছে।এমন নাম না জানা হাজারো দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে যারা আমার জেলার সন্তান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্প সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এবং দলমত নির্বিশেষে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল মিলন মেলা হিসেবে এ দেশের মানচিত্রে বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডের অধিকারী, মোহাম্মদ আশরাফুল। দি নিউস্টার সারকার্স অফ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুসামাদ।
ব্যবস্যায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বসুন্ধরা গ্রোপের চেয়ারম্যান জনাব আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম। উত্তরা গ্রুপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার।মেসার্স হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স আমানত শাহ্ গ্রুপর,রোমানা পেইন্টস, বার্জার পেইন্টস ,কিউট কোম্পানি, তিব্বত কোম্পানি, মিল্লাত কেমিক্যাল কোম্পানি,এস,এম,সি এর স্যালাইন, ড. রওশন আলম লিব্রা কো: লি: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। বাংলাদেশ ওরিয়ন গ্রুপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বাংলাদেশ NGS স্টিল ঢেউ টিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহ গোপাল বাবু।
বাংলাদেশের এক সময়ের সপ্তম ধনি ব্যাক্তি টি-আলী সাহেব কসবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রবাসী অর্থ সৈনিক
আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবাসী অর্থ সৈনিকদেরকে লাখো সালাম,যারা মাথার গাম পায়ে ফেলে
অক্লান্ত পরিশ্রমে আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিটি খন্ডকে রঙ্গীন সাজে সাজিয়েছেন।
তাদের মধ্যে আমিও একজন প্রবাসী অর্থ সৈনিক “মনিরুল ইসলাম ( মনির) নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া”
তাই গর্ব করে বলি আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়তন ১৯২৭.১১ বর্গ কিলোমিটার।
এর উত্তরে হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও হবিগঞ্জ এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী , নরসিংদী , কিশোরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার অবস্থান ।
ইতিহাস১৯৮৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্তরে উন্নীত হয়। তার আগে এটি কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা ছিল।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান অনেক।
আবদুল কুদ্দুস মাখনের মত ব্যক্তিরা এখানে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেন।
বাংলাদেশের পূর্ব-মধ্য জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেই সাথে চট্টগ্রামের সর্ব উত্তরের জেলা।
এক সময় এই জেলা বাংলাদেশের সমতট জনপদের একটি অংশ ছিল।
ঈসা খাঁ বাংলায় প্রথম এবং অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেন সরাইলে।
কুমিল্লার তিনটি সাব-ডিভিশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা সৃষ্টি হয় ১৮৬০ সালের বৃটিশ আইনে ।
১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুঘল আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসলিন কাপড় তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল।
১৯২১ সালে সমগ্র মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা (১৮৬২-১৯২২) এবং ব্যারিষ্টার আবদুর রসুল (১৮৭৪-১৯১৭) ছিলেন কংগ্রেস তথা ভারতবর্ষের প্রথম সারির একজন নেতা। উল্লাসকর দত্ত (১৮৮৫-১৯৬৫), সুনীতি চৌধুরী, শান্তি ঘোষ, গোপাল দেব, বীর মুক্তি যোদ্দা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও জ্ঞান সাধকডঃ এম. এ. রহমানের মত অনেক ত্যাগী ও মহান নেতাদের জন্ম দিয়েছে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আখাউড়ায় শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয় এবং
এদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী জনগন সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন ।
২৭ মার্চ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়োজিত চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার কর্নেল শাফায়াত জামিল (বীর বিক্রম)তার সাথের বাঙালি সেনাদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর্মি ক্যাম্পের সকল পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দি করেন ।ঐদিন দুপুরে খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) মৌলভীবাজারের শমসেরনগর হতে তার সেনাদল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন এবং কর্নেল শাফায়াত জামিল (বীর বিক্রম) তার কাছে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানির দায়িত্ব অর্পণ করেন ।মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত হয় ।
মোস্তফা কামাল (বীরশ্রেষ্ঠ) ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আখাউড়ার দরুইন গ্রামে শহীদ হন ।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম ও সেনাপ্রধান)
এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধ হয় । ঐ যুদ্ধে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং ১১ জন আহত হন । পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৫ জন নিহত ও ১৪ জন বন্দী হয় ।
রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে গড়ে তোলা হয়েছে
কোল্লাপাথর শহীদ সমাধিস্থল । এখানে ৫০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। দেশের প্রথম কুরআন ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে একমাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
“ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বীর সন্তানদের পরিচিতি ”
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮৬ – ১৯৭১ ) – ভাষা সৈনিক, ১৯৪৮ সালের ২৪ শে জানুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেছিলেন
নুরুল আমিন (১৮৯৩–১৯৭৪) – পাকিস্তানের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের একমাত্র উপরাষ্ট্রপতি নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা (১৮৬২-১৯২২) – কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (১৯১৭ – ১৯২০),বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট (১৯২১),ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য,নিখিল বঙ্গ মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি (১৯০৭), পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সেক্রেটারি (১৯০৯-১৯১০) ব্যারিস্টার আবদুর রসুল (১৮৭২ – ১৯১৭)- বাঙালী জাতীয়তাবাদী নেতা আবদুল কুদ্দুস মাখন (১৯৪৭-১৯৯৪) – মুক্তিযোদ্ধা,মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক,বঙ্গবন্ধুর ‘চার খলিফা’র একজন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক – বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌসুলী ও ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কৌসুলী,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,সাবেক সংসদ সদস্য
মুশফিকুর রহমান ( সাবেক সচিব‚ সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিশ্বব্যাংক ও রাজনীতিবিদ।
এডভোকেট আহমেদ আলী- বঙ্গবন্ধুর সহচর, প্রাক্তন সংসদ সদস্য, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্বের সংগঠক, এবং প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বারকাউন্সিল। আনিসুল হক – আইনমন্ত্রী,আখাউড়া-কসবা আসনের এমপি এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু (১৯৪০-২০১০)- গণপরিষদ সদস্য ও প্রাক্তন সংসদসদস্য,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩,মুক্তিযুদ্ধের ২ ও ৩ নং সেক্টরের গেরিলা উপদেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্য সভাপতি।
কাজী আকবর উদ্দিন সিদ্দিক (১৯২৪-২০০৪)-মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, গণপরিষদ সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য,নবীনগর। ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি এম তাজুল ইসলাম – সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্রী,বাঞ্ছারামপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক – সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী(২০১৮),নাসিরনগর।
হাবিবুল্লাহ খান – সাবেক তথ্য ও বেতার মন্ত্রী (১৯৭৮),ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আবদুর রহমান খান – সাবেক সমবায় ও পাটমন্ত্রী (১৯৫৪)
এডভোকেট হারুন আল রশিদ – সাবেক প্রতিমন্ত্রী (১৯৯১),ব্রাহ্মণবাড়িয়া
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া – সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী (২০০১),সরাইল।
তাহেরউদ্দিন ঠাকুর – সাবেক তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী
ডাঃ মোঃ ফরিদুল হুদা(১৯৩০-১৯৯৯)- সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী,(১৯৭৮),আশুগঞ্জ
এডভোকেট হুমায়ুন কবির-সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী (১৯৮৪),ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
উল্লাসকর দত্ত (১৮৮৫-১৯৬৫) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী, ক্ষুদিরাম বসু এর সহযোগী
শান্তি ঘোষ – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী,তার সহযোগী সুনীতি চৌধুরী । দুই জন মিলে ১৯৩১ সালে কুমিল্লার তৎকালীন ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কে হত্যা করেন ।
সুনীতি চৌধুরী – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
গোপাল দেব – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ বিপ্লবী
অতীন্দ্রমোহন রায় – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
রবীন্দ্র মোহন নাগ – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক
নৃপেন্দ্র দত্ত রয় – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী,যুগান্তর দলের সদস্য ।
অশোক নন্দী – সরাইলের উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম । ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী ।
সাহিত্যিক
অদ্বৈত মল্লবর্মণ (১ জানুয়ারি ১৯১৪ – ১৬ এপ্রিল ১৯৫১) – বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক
আবদুল কাদির ( ১৯০৬ – ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮৪) – বাঙালি কবি, সাহিত্য-সমালোচক ও ছান্দসিক
আল মাহমুদ – আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক
জোতিরিন্দ্র নন্দী (১৯১২-১৯৮২) – ‘বারো ঘর এক-উঠোন’ তার বিখ্যাত উপন্যাস ।
প্রবোধচন্দ্র সেন (১৮৯৭-১৯৮৬) – ছন্দবিশারদ
সানাউল হক (১৯২৪-১৯৯৩) – খ্যাতিমান কবি । ১৯৩৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ অনার্স পাশ করেন । বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৫), একুশে পদক (১৯৮৩) প্রাপ্ত ।
সুফী জুলফিকার হায়দার – কবি । একুশে পদক ও নজরুল স্মৃতি পুরস্কার প্রাপ্ত ।
আহমদ রফিক – কবি ও গবেষক ।
মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ (১৯৩৬-২০১৩) – নজরুল গবেষক ও সাহিত্যিক ।
ফজল শাহাবুদ্দীন – কবি । একুশে পদক ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত ।
মোবারক হোসেন খান – অনুবাদক,সংগীত গবেষক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক । ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর পুত্র ।
কবীর চৌধুরী (১৯২৩-২০১১) – বিখ্যাত লেখক ও সাবেক জাতীয় অধ্যাপক । ১৯৭৩ সালের বাংলা একাডেমী পুরস্কার,১৯৯১ সালের একুশে পদক এবং আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত । তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী এর বড় ভাই ।
হাসনাত আব্দুল হাই
তিতাস চৌধুরী(১৯৪৫-২০১৪)- লেখক ও গবেষক ।
শিহাব সরকার-কবি
আলী ইমাম – শিশু সাহিত্যিক ।
জয়দুল হোসেন – কবি ।
খান মোহাম্মদ ফারাবী – কবি ও অনুবাদক ।
এস এম শাহনূর -জাতিসংঘ শান্তি পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব;ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার তারুণ্যের কবি খ্যাত,লেখক ও গবেষক।ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা’
আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম – সাবেক সেনাপ্রধান
আনোয়ার হোসেন (বীর উত্তম) – বীর মুক্তিযোদ্ধা
শাহজাহান সিদ্দিকী – বীর বিক্রম
মোফাজ্জল হোসেন – বীর প্রতীক
আবু সালেক (বীর প্রতীক) – কিশোর মুক্তিযোদ্ধা
ডঃ এম. এ. রহমান – বীর মুক্তিযোদ্ধা
মনির আহমেদ খান – বীর প্রতীক । ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে সুবেদার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত ।
দেওয়ান মাহবুব আলী (কুতুব মিয়া) – মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংগঠক
সৈয়দ আকবর হোসেন (বকুল মিয়া) – (১৯৩৫-১৯৭১)
মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী তিন সহোদর
সুবেদার অবঃ মোঃ ইদ্রিস মিয়া – বীর মুক্তিযোদ্ধা
জনাব জহির উদ্দিন আহমদ সাবেক প্রধান শিক্ষক, হাবলাউচ্চ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, – বীর মুক্তিযোদ্ধা
জনাব জামাল উদ্দিন আহমদ সাবেক প্রধান শিক্ষক, লালপুর উচ্চ বিদ্যালয় – বীর মুক্তিযোদ্ধা
বিজ্ঞানী
আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া – বিখ্যাত পুরাতাত্ত্বিক,গবেষক
আব্দুস সাত্তার খান (১৯৪১-২০০৮)- নাসার বিজ্ঞানী, ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক, ১৯৮৬ সালে এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এর ইঞ্জিনের জ্বালানি খরচ কমানোয় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইউনাইটেড টেকনোলজিস স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত, ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রির রসায়নবিদ এবং নির্বাচিত ফেলো
তাহের খান – যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য গবেষণা ও মাননিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর বিজ্ঞানী, যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার ট্রাস্ককিগি ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ।
খেলোয়াড়
প্রবীর সেন – টেস্ট ক্রিকেটার,১৯৪৮ সালে ডন ব্র্যাডম্যানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ।
মোহাম্মদ আশরাফুল – বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান
সাংবাদিক
হাবিবুর রহমান মিলন (১৯৩৯-২০১৫) – ২০১২ সালের একুশে পদক প্রাপ্ত । দৈনিক ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদক এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ছিলেন ।
আহমেদুর রহমান (১৯৩৩-১৯৬৫)- ইত্তেফাকের খ্যাতিমান সাংবাদিক, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনের বড় ভাই, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যেদের একজন । ১৯৬৫ সালের ২০ মে কায়রোতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ।
মুহম্মদ মুসা – সাংবাদিক ও গবেষক ।
তুষার আব্দুল্লাহ – ইউনেস্কো পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক
খন্দকার আশোক শাহ – যিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন ইয়েমেন থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য। উনি শায়িত আছেন গোপীনাথ পুর গ্রামের মধ্য পাড়ায়। বীর মুক্তি যোদ্দা, চিকিৎসক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সংস্ক্রিতিক ব্যাক্তিত্ব, জ্ঞান সাধক ও সুফি সাধক, ডঃএম.এ. রহমান উনার বংশ ধর।
শায়খুল বাঙ্গাল আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আবু মাছাকিন মোহাম্মদ মতিউর রহমান গোলাম কাদির (রাহ্) ।
অন্যান্য ক্ষেত্র
ঈসা খান – বারো ভুঁইয়া দের অন্যতম
আকবর আলি খান – অর্থনীতিবিদ,তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ – সাবেক বিডিআরের মহাপরিচালক
অদুদুল বারী চৌধুরী নান্টু (অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব)
অলি আহাদ – ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পুরস্কার ২০০৪ প্রাপ্ত
মহিউদ্দিন আহমাদ- ভাষা সৈনিক,রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম আহবায়ক। সাবেক মহাপরিচালক,বাংলাদেশ ডাক বিভাগ।
অধ্যাপক ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ,
নিউরোলজি এন্ড মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক, নিউরোলজি বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, ঢাকা(নবীনগর)
সনি আক্তার সুচি
প্যানেল চেয়ারম্যান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।
সভাপতি,বাংলাদেশ নারী সোসাইটি।(নবীনগর)
এম এ মতিন(শাহেদ মতিন)বাংলাদেশ চিত্র নায়ক(নবীনগর)
( মনির নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া )
শেখ আবু হামেদ (১৯২৮-২০১৪) – ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ইতিহাসবিদ ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ – বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্ণর
আনন্দময়ী মা (১৮৯৬-১৯৮২) – আধ্যাত্মিক সাধিকা
মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য – দাতা ও শিক্ষানুরাগী ।
নরেন্দ্রচন্দ্র দত্ত (১৮৭৮-১৯৬২) – প্রখ্যাত ব্যাংকার ।
অমিতাভ রেজা চৌধুরী – চলচ্চিত্র পরিচালক ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা ।
পায়েল ঠাকুর – ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা
জাকিয়া বারী মম – অভিনেত্রী এবং মডেল
জিয়াউল রোশান – অভিনেতা
সাবরিনা পড়শী – সংগীতশিল্পী
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু – চলচ্চিত্র পরিচালক
আনোয়ার জাহান নান্টু – সংগীত পরিচালক
এম এন ইস্পাহানী – চলচ্চিত্র পরিচালক
আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান- সাবেক রাষ্ট্রপতির ইমাম:- বঙ্গভবন জামে মসজিদ, সম্মানিত প্রধান মুয়াযযিন:- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, মূল ক্বারী, প্রধান মুকাব্বির ও উপস্থাপক:-জাতীয় ঈদগাহ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের) ধর্ম গ্রন্ত পাঠক। ইসলামীক আলোচক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান গ্রন্তনা ও উপস্থাপক:-বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশন।
কৃতি ব্যক্তিত্ব
সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ (১৮৬২ – ১৯৭২) – খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ, বাবা আলাউদ্দিন খান নামেও তিনি পরিচিত । তিনি মাইহারের রাজদরবারে সঙ্গীতচর্চা করতেন । ভারত সরকার তাকে ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ পদক ‘পদ্মভূষণ’ ও ১৯৭১ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ প্রদান করেন । তার ভাই ওস্তাদ আয়াত আলী খাঁর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন’ । তার পরিবারের অন্যান্য বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ভাই ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ ও ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ, পুত্র আলী আকবর খাঁ, জামাতা পণ্ডিত রবিশঙ্কর, কন্যা রওশন আরা বেগম ওরফে অন্নপূর্ণা, ভ্রাতুষ্পুত্র ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খাঁ, পৌত্র আশীষ খাঁ ।
আলী আকবর খান – বিশ্ববিখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী, ১৯৭১ এর ১ আগস্ট নিউইর্য়কের ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর অন্যতম আয়োজক । ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর পুত্র
অন্নপূর্ণা দেবী – সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী । তিনি ওস্তাদ আলাউদ্দীন খানের কন্যা ।
ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ – (১৮৮৪-১৯৬৭) – উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী – গভর্নর পদক (১৯৬০), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী (১৯৭৬) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৮৪) প্রাপ্ত । ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ভাই ।
বাহাদুর খান – (১৯৩১-১৯৮৯) – বিখ্যাত সরোদ বাদক এবং চলচ্চিত্র সুরকার
কিরীট খান – (১৯৫৫-২০০৬) – বিখ্যাত সেতার বাদক
ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ (১৮৬২ – ১৯৩৩) – গীতিকার,সুরকার,গায়ক । ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ভাই ।
ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান (১৯২৯-১৯৯৬) – সেতারবাদক,সুরকার ও সংগীত পরিচালক । সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর পুত্র । তিনি ১৯৮৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন ।
ওস্তাদ খাদেম হোসেন খান (১৯২২-১৯৯২) – সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক । ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর শিষ্য, ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন । বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ।
ওস্তাদ মীর কাশেম খান (১৯২৮-১৯৮৪) – সেতারশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক । ১৯৮৪ সালে একুশে পদক লাভ করেন ।
শেখ সাদী খান – বাংলাদেশের আধুনিক সঙ্গীতের স্থপতিদের একজন । তিনি সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার । ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর পুত্র । দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ।
ওস্তাদ খুরশিদ খান (১৯৩৫-২০১২) – সেনীয়া-মাইহার ঘরানার বিখ্যাত সেতার বাদক । ওস্তাদ আয়েত আলী খানের নাতি । ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ।
ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু – উচ্চাঙ্গসঙ্গীতশিল্পী
মনমোহন দত্ত – মলয়া সংগীতের জনক ও মরমী সাধক
আনন্দ চন্দ্র নন্দী – সঙ্গীতজ্ঞ ও সাধক । সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে জন্ম । অন্য নাম আনন্দস্বামী । সাধক মনোমোহন দত্ত তার শিষ্য ।
রামদুলাল মুন্সী – সঙ্গীতজ্ঞ ও সাধক । আনন্দ চন্দ্র নন্দীর পিতা । ত্রিপুরা রাজার দেওয়ান ছিলেন ।
বিখ্যাত দলিল লেখক = রামরাইলের তারামোহন সুএধর (মুহুরি)
মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দী (১৮৫৩-১৯৩২)- সঙ্গীতজ্ঞ,সাধক,ডাক্তার ও শিল্প উদ্যোক্তা । আনন্দ চন্দ্র নন্দীর পুত্র ।
অমর পাল – প্রখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী । ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর কাছ থেকে দীক্ষা নেন ।
গিরীণ চক্রবর্তী – প্রখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী ।
সুবল দাস (১৯২৭-২০০৫) – বিখ্যাত চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার ।
সৈয়দ আব্দুল হাদী – প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্প