মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ খেয়েই নিষিদ্ধ শেহজাদ!
ডোপ টেস্টে অনেক আগেই পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান নিজের দোষ স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। যার জেরে ৫ অক্টোবর, শুক্রবার শেহজাদকে চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার তিনদিন পর শেহজাদ অবশ্য বলছেন, ভুল করে মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ খাওয়াতেই নাকি ডোপ টেস্টে তার শরীরে নিষিদ্ধ বস্তু পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানি এই ওপেনার জানিয়েছেন, গত ৩ মে ঘুম থেকে ওঠার পর তার মাথা ঘুরাচ্ছিল। স্ত্রী সানা আহমেদের কাছে ‘গ্রাভিনেট’ নামক ওষুধ চেয়েছিলেন তিনি। ওই সময় তার স্ত্রী তাকে ভুলক্রমে তার মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ এনে দেন। শেহজাদ না দেখেই সেই ওষুধ সেবন করেন।
আর এতেই বাধে বিপত্তি। ওইদিন পাকিস্তান লিগের ম্যাচের পর ডোপ টেস্ট করলে সেখানে তার রক্তে নিষিদ্ধ বস্তুর নমুনা পাওয়া যায়। এর ফলে তাকে নিষিদ্ধ করে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পিসিবি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে পিসিবির কাছে নিজের মায়ের প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েছেন শেহজাদ। একই সঙ্গে নিজের ডাক্তার ও ফিজিওর লেখা ওষুধের তালিকাও দিয়েছেন। এ ছাড়া বর্তমান কোচ মিকি আর্থার, সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের থেকে নেওয়া ‘চারিত্রিক সনদপত্রও’ জমা দিয়েছেন।
শেহজাদের চার মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। এরপর পিসিবির পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হবে তাকে। শুধু তাই নয়, পিসিবি নির্ধারিত কোনো সেমিনার কিংবা সম্মেলনে অ্যান্টি-ডোপিংয়ের ওপর বক্তৃতাও দিতে হবে ২৬ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি ওপেনারকে।
সূত্র: ক্রিকবাজ